ঈদুল আজহার দিনের অন্যতম ইবাদত কোরবানি। কোরবানি অনেক ফজিলতপূর্ণ ও তাৎপর্যময় আমল। কোরবানি করতে হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লহর কাছে (কোরবানির পশুর) মাংস, রক্ত পৌঁছে না, বরং আল্লাহর কাছে তোমাদের তাকওয়াত (তথা একনিষ্ঠভাবে সম্পন্ন আমল) পৌঁছে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৩৭)
অনেকে কোরবানির পশুতে সন্তানের আকিকা দিতে চান। এই আকিকা দেওয়া সঠিক হবে কি না, চলুন জেনে নিই—
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে পরে যেকোনো সময় করা যাবে। সন্তানের বাবা বা তার অনুপস্থিতিতে অন্য যে থাকেন, তিনিই আকিকা করাবেন। সন্তান বড় হলে নিজেও করতে পারবেন। ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল আকিকা করা সুন্নত। যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ যেমন—গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বা এগুলো দিয়ে আকিকা করাও বৈধ।
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, কোরবানির সঙ্গে আকিকা করা যাবে। এক পশুতে তিন শরিক কোরবানি হলে সেখানে আরও দুই-এক শরিক আকিকার জন্য দেওয়া যেতে পারে। তেমনিভাবে কোরবানির মতো একই পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে আকিকা আদায় করতে পারবেন। এতে কোরবানি ও আকিকা দুটোই হবে। (রদ্দুল মুহতার, ৬/৩২৬, ইলাউস সুনান, ১৭/১২৬)
আকিকার গোশত সন্তানের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খেতে পারবে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকিকার গোশত নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৭৬৬৯)
খালেদ/ পোস্টকার্ড ;