কাপড় ও কাঁথা প্যাঁচানো অবস্থায় মীরসরাইয়ের মায়ানী ইউনিয়নে খালপাড়ে পাওয়া গেছে এক নবজাতক। শনিবার ( ৩১ মে) ভোরে উপজেলার ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়নের পূর্ব মায়ানী খালপাড়ে কাপড় ও কাঁথা প্যাঁচানো অবস্থায় এই শিশুটিকে পাওয়া যায় । খবর পেয়ে মীরসরাই উপজেলার ইউএনও সোমাইয়া আক্তার দ্রুত ছুটে যান এবং শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে আইনগত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নবজাতকটির লালন পালনের দায়িত্বভার কাকে দেয়া হবে তা আজ রোববার ( ০১ জুন ) শিশু বিষয়ক বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মীরসরাই উপজেলার ১৩ নম্বর মায়ানী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব মায়ানী গ্রামের একটি খালের পাশ দিয়ে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় কৃষক মো. মোস্তফা। এসময় শিশুর কান্নার শব্দ কানে আসে তার। তিনি ভোর ৫টায় শিশুটিকে সেখান থেকে তুলে ঘরে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী মজিবুল হক তার বাড়িতে নিয়ে শিশুকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করেন। সকাল ১০টায় গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেন খোরশেদ। তিনি মীরসরাই উপজেলার একটি হাসপাতালে নিয়ে শিশু পুত্রটির চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে বিকেল নাগাদ খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার। তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাবরিনা আক্তার লীনা এবং মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমানকে শিশুটির সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার নিজে মায়ানী ইউনিয়নের পূর্ব মায়ানী খোরশেদের বাড়িতে যান। তিনি শিশুটিকে কোলে নিয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি বলেন, এখন থেকে উক্ত শিশুর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রোববার শিশু বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে শিশুটির লালন–পালন কে তত্ত্বাবধান করবেন।
খালেদ/ পোস্টকার্ড ;