Dhaka ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার অনিয়ম, দরপত্রের আগেই বাজারদর ফাঁস!

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান, বাজারদর নির্ধারণ, শর্তাবলী প্রণয়ন-সবকিছু স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে হওয়া কথা, সেখানে শুরু থেকেই ঘটেছে উল্টোচিত্র। দরপত্রের কার্যক্রম শুরুর মধ্যেই গোপনে পছন্দের ঠিকাদারকে বাজারদর ফাঁস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য গত ২৩ এপ্রিল দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়ম অনুযায়ী, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই বাজারদর তালিকা সিলগালা করে রাখার কথা। কিন্তু তা নির্ধারিত কিছু ঠিকাদারের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু বাজারদর ফাঁসই নয়, দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে-উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বিক্রি করা শিডিউলের ১১ নম্বর শর্তে গিয়ে একাধিক সর্বনিম্ন দরদাতা থাকলে ‘লটারির মাধ্যমে’ ঠিকাদার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ পিপিআরের ৯৮(৩৩) উপবিধি (৩১) অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করা হয়। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার জায়গায় রাখা হয়েছে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীলতা।

এদিকে, আলোচ্য অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে গত ২২ মে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বায়েজীদ নবীন সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অভিযোগেও প্রতিষ্ঠানটি এসব অনিয়ম তুলে ধরে আরও উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট (ই-জিপি) চালু রয়েছে, সেখানে এখনো ম্যানুয়াল দরপত্র পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলতাপ হোসেন বলেন, ‘ম্যানুয়াল দরপত্র আহ্বান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক করা হয়েছে। আর বাজারদর ফাঁসের অভিযোগ সঠিক নয়। এখনও দরপত্রের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। কিংবা এ বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেননি। নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হবে। সিভিল সার্জনকে অভিযোগ করলে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।’ তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের অনিয়ম নতুন নয়। আগেও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।পূর্বকোণ

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

মিরসরাইয়ে অর্থাভাবে সানজিদার লেখাপড়া বন্ধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ!

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার অনিয়ম, দরপত্রের আগেই বাজারদর ফাঁস!

আপডেটের সময় : ০৮:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান, বাজারদর নির্ধারণ, শর্তাবলী প্রণয়ন-সবকিছু স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে হওয়া কথা, সেখানে শুরু থেকেই ঘটেছে উল্টোচিত্র। দরপত্রের কার্যক্রম শুরুর মধ্যেই গোপনে পছন্দের ঠিকাদারকে বাজারদর ফাঁস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য গত ২৩ এপ্রিল দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়ম অনুযায়ী, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই বাজারদর তালিকা সিলগালা করে রাখার কথা। কিন্তু তা নির্ধারিত কিছু ঠিকাদারের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু বাজারদর ফাঁসই নয়, দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে-উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বিক্রি করা শিডিউলের ১১ নম্বর শর্তে গিয়ে একাধিক সর্বনিম্ন দরদাতা থাকলে ‘লটারির মাধ্যমে’ ঠিকাদার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ পিপিআরের ৯৮(৩৩) উপবিধি (৩১) অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করা হয়। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার জায়গায় রাখা হয়েছে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীলতা।

এদিকে, আলোচ্য অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে গত ২২ মে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বায়েজীদ নবীন সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অভিযোগেও প্রতিষ্ঠানটি এসব অনিয়ম তুলে ধরে আরও উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট (ই-জিপি) চালু রয়েছে, সেখানে এখনো ম্যানুয়াল দরপত্র পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলতাপ হোসেন বলেন, ‘ম্যানুয়াল দরপত্র আহ্বান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক করা হয়েছে। আর বাজারদর ফাঁসের অভিযোগ সঠিক নয়। এখনও দরপত্রের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। কিংবা এ বিষয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেননি। নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হবে। সিভিল সার্জনকে অভিযোগ করলে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।’ তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের অনিয়ম নতুন নয়। আগেও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।পূর্বকোণ

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন