নারীর মর্যাদা, অধিকার ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অবমাননাকর নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফিমেইল একাডেমিক জোন-এর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি গঠিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জাতির আশা- আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী অনেক প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করায় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে । তাছাড়া নারী সংস্কার কমিশন মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কারসহ আরো কতিপয় সুপারিশ করেছে, যা নিয়ে দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই সংস্কারের আওতায় যাদের জীবন সরাসরি প্রভাবিত হবে, দেশের সেই সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম নারীদের প্রতিনিধিত্ব এই কমিশনে নেই কেন?

এ সময় বক্তারা বলেন,  বিয়ে, তালাকসহ অন্যান্য বিষয় পবিত্র কোরআন দ্বারা নির্ধারিত। অথচ রাষ্ট্রের গঠিত নারী সংস্কার কমিশনে এমন কোনো নারীর উপস্থিতি নেই- যিনি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত। কমিশনের সেক্যুলার নারীদের বক্তব্যে প্রতীয়মান হয়, তারা এর প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেননি। তাদের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পারিবারিক কাঠামো হুমকির মুখে পড়বে। এতে রাষ্ট্র ও সমাজ বিপর্যস্ত হবে ।

তাঁরা বলেন, আমাদের মহিলা আলেমরা কথা বলেন না, পুরুষ আলেমরাও কথা বলেন না। যার কারণে বাংলাদেশের নারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সমাজে সহজ হয়ে গেছে। ধর্মহীনতার ও ধর্মবিমুখতার প্রচলন এবং অভিন্ন নারীবাদী আইনের নামে যে ধর্মকে অস্বীকার করার আহ্বান, তাতে নারীদের ও আমাদের পরিবারগুলোকে একটি বস্তু হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আমাদের পরিবার ও সম্পর্কগুলোকে ভাবা হচ্ছে- এগুলো পয়সা দিয়ে কেনা যায়। আইন দিয়ে বদলানো যায়। এ বিষয়ে মুসলিম হিসেবে দাবি করা নারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা ।

বক্তারা বলেন, নারীর নারীত্ব তার অধিকার, মর্যাদা ও মূল্যবোধের সুষম প্রতিচ্ছবি। আমরা সেই অবস্থানে অবিচল। চাই সম্মান ও মূল্যবোধভিত্তিক ন্যায্যতার অধিকার। বক্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার এবং নারীর ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার দাবি জানান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;