থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হাসান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে মোহাম্মদ হাসানের পরিবারের বরাত দিয়ে ফেসবুক পোস্টে জানান উমামা ফাতেমা।
এছাড়া রাত ১১টা ২১ মিনিটে ‘এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস’ নামে একটি ফেসবুক পেজে হাসানের বোনের বরাতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আহত যোদ্ধা আমাদের ভাই হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটু আগে শহীদ হয়েছেন। সবাই দোয়া করবেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন হাসানের ছোট বোন সুমাইয়া।
ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, গত সাত মাস ধরে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে ছিলেন মোহাম্মদ হাসান। গত ১০ এপ্রিল হাসানকে লাইফসাপোর্ট থেকে সরিয়ে সাধারণ বেডে আনা হয়। ২৫ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে পুনরায় লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়।
এদিকে, রাত ১২টা ১৭ মিনিটের দিকে উমামা ফাতেমা এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হাসান ভাই একটু আগে মারা গেছেন। হাসান ভাই আহত হওয়ার পর থেকে এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারসের মাধ্যমে তার সঙ্গে কলি আপু সার্বক্ষণিক যুক্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে কলি কায়েয আপু বলছিলেন হাসানের অবস্থা বেশি ভালো না। আমি ভাবছিলাম দেশে আসলে দেখতে যাব। কি বলব!
অন্যদিকে, এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস’ ফেসবুক পেজে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট টাইগারপাসে আন্দোলনের সময় মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়- যা সম্ভাব্য ব্রেন ড্যামেজের কারণ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার খাদ্যনালী ও কণ্ঠনালী এক করে লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;