Dhaka ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

  • ঢাকা অফিস।।
  • আপডেটের সময় : ০৩:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • ৭২ টাইম ভিউ

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, কারণ একটি নির্বাচিত সরকারই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বৈধ অধিকার রাখে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বুধবার (২১ মে) রাজধানী ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচন ছাড়াও দেশের করিডর, বন্দর, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

সেনা প্রধান করিডর প্রসঙ্গে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসা উচিত। এখানে দেশের স্বার্থ দেখতে হবে। তবে যা করার দেশের স্বার্থকে রক্ষা করেই করতে হবে। এতে যা-ই করা হোক না কেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে সেটি হতে হবে।

মব ভায়োলেন্স বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা আক্রমণের বিরুদ্ধেও কঠোর বার্তা দিয়েছেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। এ সময় সংঘবদ্ধ জনতার নামে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা এখন আর সহ্য করা হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়েও কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের কী সংস্কার হচ্ছে, তা কীভাবে হচ্ছে, এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি।

সামনে ঈদুল আজহা। এ সময় সাধারণ মানুষ যেন নিরাপদে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারে, সেই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বলেছেন সেনা প্রধান।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী কখনোই এমন কোনো কার্যকলাপে যুক্ত হবে না, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সকল পর্যায়ের সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থাকার এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করে যাব।’

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাররা। এ সময় অনেক কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

আপডেটের সময় : ০৩:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, কারণ একটি নির্বাচিত সরকারই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বৈধ অধিকার রাখে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বুধবার (২১ মে) রাজধানী ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচন ছাড়াও দেশের করিডর, বন্দর, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

সেনা প্রধান করিডর প্রসঙ্গে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসা উচিত। এখানে দেশের স্বার্থ দেখতে হবে। তবে যা করার দেশের স্বার্থকে রক্ষা করেই করতে হবে। এতে যা-ই করা হোক না কেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে সেটি হতে হবে।

মব ভায়োলেন্স বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা আক্রমণের বিরুদ্ধেও কঠোর বার্তা দিয়েছেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। এ সময় সংঘবদ্ধ জনতার নামে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা এখন আর সহ্য করা হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়েও কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের কী সংস্কার হচ্ছে, তা কীভাবে হচ্ছে, এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি।

সামনে ঈদুল আজহা। এ সময় সাধারণ মানুষ যেন নিরাপদে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারে, সেই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বলেছেন সেনা প্রধান।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী কখনোই এমন কোনো কার্যকলাপে যুক্ত হবে না, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সকল পর্যায়ের সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থাকার এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করে যাব।’

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাররা। এ সময় অনেক কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন