দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর সিফাতের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূল থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সিফাত কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার সেফট আলী এলাকার আমান উল্লাহর ছেলে। তিনি বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট অ্যাপ্রোচ সড়কের ঢালাই শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ৮ দিন আগে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট এলাকা এসে সড়কের নির্মাণের কাজে প্রতিদিন ৬০০ টাকা মজুরিতে ঢালাইয়ের কাজে অংশ নেয়।
এদিকে সিফাতের বাবা মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, সিফাতরা ৩ ভাই ও ১ বোন। তাদের মধ্যে সিফাত সবার বড়। এলাকার ছেলেদের সাথে কাজ করার উদ্দেশ্যে সে কক্সবাজার থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা বাঁশবাড়িয়া চলে আসে। এখন তার লাশ নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবো।
অপরদিকে কুমিরা নৌ পুলিশের এসআই আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা ঘটনার দিন বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এসে সাগরে অনেক খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি সিফাতকে। আজ সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম সিফাতকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মোঃ ফিরোজ মিয়া বলেন, আমরা প্রথম দিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিফাতকে উদ্ধারে সাগরে অনেক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তখন উদ্ধার কার্যক্রম করা আর সম্ভব হয়নি। আজ রবিবার আবারো সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাগরে অভিযান চালানো হয়।
সর্বশেষ আজ ১০টায় বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে অন্তত সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ গজ দূরে নিখোঁজ শিফাতকে উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হই।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম এর অনুমতিক্রমে এবং চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা নিহত কিশোর সিফাতের লাশ তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ।
শনিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার জেলার ইনানী বিচ এলাকার ছেপাটখালির মোঃ আমান উল্লাহ’র ছেলে সিফাত সাগরে গোসল করতে গিয়ে সাগরের উত্তাল জোয়ারে ভাটার টানে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এরপর সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ থেকে আসা ডুবুরি ইউনিট নিখোঁজ সিফাত কে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
খালেদ / পোস্টকার্ড