মিয়ানমারে পাচারের জন্য প্রস্তুতকৃত ট্রলারসহ ৩৪০ বস্তা সরকারি ইউরিয়া সার জব্দ করেছে সীতাকুণ্ডের কুমিরা নৌ পুলিশ। শুক্রবার ( ১৬ মে ) এসব সার জব্দ করে কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি ।
শুক্রবার রাতেই সরকারি সার উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ট্রলারমালিক ও চালককে আসামি করে মামলাটি করেন কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান ।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায় একটি চক্র চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার রাসমণিঘাট (খেজুরতলা) ট্রলারঘাট থেকে সারগুলো নিয়ে মিয়ানমারে পাচার করছে—এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় এবং পরবর্তীতে জব্দকৃত ইউরিয়া সার কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয় ।
কুমিরা নৌ পুলিশ ঘাটে দেখা যায়, ‘এফবি আবদুর রহমান-১’ নামের একটি ফিশিং ট্রলার এবং এর ডেকে দুটি চেম্বারে সারের বস্তাগুলো রাখা ছিল। বস্তাগুলোর ওপরে লেখা আছে, ‘কাফকো গ্র্যানুলার ইউরিয়া, মেড ইন বাংলাদেশ’। প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি। বর্তমানে সারের বস্তাগুলো ট্রলার কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে জমা আছে ।
কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালি উদ্দিন আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট লোকজন ও শ্রমিকদের সবাই পালিয়ে গেছেন। তাঁরা ট্রলারমালিক ও জড়িত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে দুজনের নাম উল্লেখ করে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেছেন। গরমে সার গুদামেই গলে যাচ্ছে তাই আদালতের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।
খালেদ / পোস্টকার্ড