Dhaka ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমির দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমির দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির দলিল হস্তান্তর করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান ও এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালামের কাছে এ দলিল হস্তান্তর করেন তিনি।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নানা উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এবছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে তাই এবার সমস‍্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন‍্যান‍্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে যদি এবছর যদি তারা আশানুরূপ ফল না আসে তাহলেতো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী এবং খুবই জটিল সমস্যা। এ সমস‍্যা নিরসনের মাধ্যমে অন‍্যান‍্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে।

সমস্যা নিরসনে নিয়মিত তাগিদ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ আরও অনেকে।

সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি লিট উপাধি প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থনীতি বিভাগ পরিদর্শনে আসেন। সেই হিসাবে প্রায় ১০ বছর পর তিনি ক্যাম্পাসে আসছেন। আজ অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে অর্থনীতি বিভাগে যেতে পারেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমির দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেটের সময় : ০৮:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির দলিল হস্তান্তর করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান ও এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালামের কাছে এ দলিল হস্তান্তর করেন তিনি।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নানা উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এবছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে তাই এবার সমস‍্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন‍্যান‍্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে যদি এবছর যদি তারা আশানুরূপ ফল না আসে তাহলেতো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী এবং খুবই জটিল সমস্যা। এ সমস‍্যা নিরসনের মাধ্যমে অন‍্যান‍্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে।

সমস্যা নিরসনে নিয়মিত তাগিদ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ আরও অনেকে।

সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি লিট উপাধি প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থনীতি বিভাগ পরিদর্শনে আসেন। সেই হিসাবে প্রায় ১০ বছর পর তিনি ক্যাম্পাসে আসছেন। আজ অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে অর্থনীতি বিভাগে যেতে পারেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন