Dhaka ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন , অংশ নেবে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী

বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন , অংশ নেবে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী

আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ২২ জনকে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে থাকছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন চবি থেকে তাকে সম্মানজনক ডক্টর অব লিটারেচার বা ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন- শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ ছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সাজ সাজ অবস্থা বিরাজ করছে। মূল আয়োজনের জন্য চবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২৫ হাজার মানুষ ধারণ ক্ষমতার বৃহৎ প্যান্ডেল করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল, অনুষদ ও প্রশাসনিক ভবন সাজানো হয়েছে নতুনরূপে। সর্বত্র যেন লেগেছে সংস্কারের ছোঁয়া। সমবর্তী অনেক শিক্ষার্থীকেই সমাবর্তন গাউন ও টুপি পড়ে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ছবি তুলছেন। দীর্ঘদিন পর দেখা হয়ে একে অপরের সঙ্গে মেতে উঠছেন খোশগল্পে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশাল এই আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফি থেকে আয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও স্পন্সরদের কাছ থেকে নেয়া।

কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, সমাবর্তন সফল করতে ১৯টি উপ–কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের সাবেকদের যাবতীয় বিষয় দেখভাল করছেন। এরই মধ্যে সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তৈরি করা হয়েছে তিনটি বিশাল প্যান্ডেল। যেখানে একসাথে বসতে পারবেন ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল লক্ষ্যে কাজ করছে না। সমাবর্তন হওয়াটাতো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারেরই একটি অংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারটি।

তিনি আরও বলেন, অনিয়ম আমরা সহ্য করব না। আমরা ধীরে ধীরে একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আসবো। এখানে ছাত্রদেরকে সেবা দিতে এসেছি, তাদের অধিকার তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছি। তারই অংশ এই সমাবর্তন। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন, আমরা সুন্দর একটি সমাবর্তন আয়োজন করতে পারবো যা দেশের ইতিহাসে এতবড় সমাবর্তন আগে হয়নি।

যেসব ডিগ্রিধারীরা পাচ্ছেন সমাবর্তন:

২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমডি, এমএস, এমফিল (চিকিৎসা বিজ্ঞান); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমএ, এমএসসি, এমএস, এমএসএস, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলএম, এমএস (ফরেস্ট্রি), এমএস ইঞ্জিনিয়ারিং (সব), এমএড, এমএড (স্পোর্টস সায়েন্স); ২০১৩ থেকে ২০২৩ এমএ (ELT); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএ, বিএফএ, বিএসসি, বিএসএস, বিবিএ, এলএলবি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সকল), বিএড, বিএড (স্পোর্টস সায়েন্স)।

এছাড়া ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমবিবিএস, বিডিএস, বিপিএড; ২০১৪ সালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিএলও; ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিসিও, ডিসিএইচ; ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএসসি ইন নার্সিং (সাধারণ/পোস্ট বেসিক/পাবলিক হেলথ নার্সিং), মেডিকেল টেকনোলজি, ফ্যাশন টেকনোলজি এবং ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অধিভুক্ত সকল কলেজের সকল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:

বুধবার দুপুর ১টার মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে। বিলম্ব হলে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ব্যতীত কোনো কিছুই সাথে নেওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে মেডিক্যাল টিম, আইসিইউ এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবেন না। বৃদ্ধ, নবজাতক ও শিশুদের না আনার বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে শহরের নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ১০০টি বাস সমবর্তীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবে। সমাবর্তন শেষে এগুলো আবার শহরে ফিরে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে শাটল বাস সার্ভিস রাখা হবে। এর বাইরে কোনো গাড়ি সেদিন ওই রুটে চলাচল করতে পারবে না।
শাটলবাসে অভিভাবকরাও চড়তে পারবেন। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি সাথে আনলে ব্যক্তিগত ড্রাইভার নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা ১ নম্বর গেট থেকে কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য জিরো পয়েন্ট, শহিদ মিনার, জারুলতলা, সায়েন্স ফ্যাকাল্টিসহ ৫টি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখানো হবে। বিটিভিতে পুরো অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচার হবে। ক্যাম্পাসের খাবার হোটেল এবং ক্যান্টিনগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার রান্নার নির্দেশনা দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। তবে ড. ইউনূস যেই রুটে যাতায়াত করবে সেই রুটের হোটেলগুলো দুপুর ১২টার পর বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামীকাল বিকেল ৩টা থেকে পরদিন অনুষ্ঠান শুরু হওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন স্থলে সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ নিষেধ। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠান শেষে গাউন জমা দিয়ে নিজ নিজ বিভাগ থেকে সনদ ও গিফট গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সমাবর্তন উপলক্ষে চবির ঐতিহ্যবাহী শাটল ট্রেন রঙিন সাজে সাজানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়৷ এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। – সিভয়েস

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন , অংশ নেবে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী

আপডেটের সময় : ০৫:২১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ২২ জনকে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে থাকছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন চবি থেকে তাকে সম্মানজনক ডক্টর অব লিটারেচার বা ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন- শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ ছাড়া ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সাজ সাজ অবস্থা বিরাজ করছে। মূল আয়োজনের জন্য চবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২৫ হাজার মানুষ ধারণ ক্ষমতার বৃহৎ প্যান্ডেল করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল, অনুষদ ও প্রশাসনিক ভবন সাজানো হয়েছে নতুনরূপে। সর্বত্র যেন লেগেছে সংস্কারের ছোঁয়া। সমবর্তী অনেক শিক্ষার্থীকেই সমাবর্তন গাউন ও টুপি পড়ে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ছবি তুলছেন। দীর্ঘদিন পর দেখা হয়ে একে অপরের সঙ্গে মেতে উঠছেন খোশগল্পে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশাল এই আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফি থেকে আয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও স্পন্সরদের কাছ থেকে নেয়া।

কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, সমাবর্তন সফল করতে ১৯টি উপ–কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ তাদের সাবেকদের যাবতীয় বিষয় দেখভাল করছেন। এরই মধ্যে সমাবর্তনের অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তৈরি করা হয়েছে তিনটি বিশাল প্যান্ডেল। যেখানে একসাথে বসতে পারবেন ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল লক্ষ্যে কাজ করছে না। সমাবর্তন হওয়াটাতো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারেরই একটি অংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারটি।

তিনি আরও বলেন, অনিয়ম আমরা সহ্য করব না। আমরা ধীরে ধীরে একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরে আসবো। এখানে ছাত্রদেরকে সেবা দিতে এসেছি, তাদের অধিকার তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছি। তারই অংশ এই সমাবর্তন। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন, আমরা সুন্দর একটি সমাবর্তন আয়োজন করতে পারবো যা দেশের ইতিহাসে এতবড় সমাবর্তন আগে হয়নি।

যেসব ডিগ্রিধারীরা পাচ্ছেন সমাবর্তন:

২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমডি, এমএস, এমফিল (চিকিৎসা বিজ্ঞান); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমএ, এমএসসি, এমএস, এমএসএস, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলএম, এমএস (ফরেস্ট্রি), এমএস ইঞ্জিনিয়ারিং (সব), এমএড, এমএড (স্পোর্টস সায়েন্স); ২০১৩ থেকে ২০২৩ এমএ (ELT); ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএ, বিএফএ, বিএসসি, বিএসএস, বিবিএ, এলএলবি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সকল), বিএড, বিএড (স্পোর্টস সায়েন্স)।

এছাড়া ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এমবিবিএস, বিডিএস, বিপিএড; ২০১৪ সালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিএলও; ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (চিকিৎসা বিজ্ঞান): ডিসিও, ডিসিএইচ; ২০১৪ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিএসসি ইন নার্সিং (সাধারণ/পোস্ট বেসিক/পাবলিক হেলথ নার্সিং), মেডিকেল টেকনোলজি, ফ্যাশন টেকনোলজি এবং ২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত অধিভুক্ত সকল কলেজের সকল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা:

বুধবার দুপুর ১টার মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে। বিলম্ব হলে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ব্যতীত কোনো কিছুই সাথে নেওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে মেডিক্যাল টিম, আইসিইউ এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবেন না। বৃদ্ধ, নবজাতক ও শিশুদের না আনার বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে শহরের নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ১০০টি বাস সমবর্তীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবে। সমাবর্তন শেষে এগুলো আবার শহরে ফিরে যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে শাটল বাস সার্ভিস রাখা হবে। এর বাইরে কোনো গাড়ি সেদিন ওই রুটে চলাচল করতে পারবে না।
শাটলবাসে অভিভাবকরাও চড়তে পারবেন। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি সাথে আনলে ব্যক্তিগত ড্রাইভার নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা ১ নম্বর গেট থেকে কোনো গাড়ি ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য জিরো পয়েন্ট, শহিদ মিনার, জারুলতলা, সায়েন্স ফ্যাকাল্টিসহ ৫টি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখানো হবে। বিটিভিতে পুরো অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচার হবে। ক্যাম্পাসের খাবার হোটেল এবং ক্যান্টিনগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার রান্নার নির্দেশনা দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। তবে ড. ইউনূস যেই রুটে যাতায়াত করবে সেই রুটের হোটেলগুলো দুপুর ১২টার পর বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামীকাল বিকেল ৩টা থেকে পরদিন অনুষ্ঠান শুরু হওয়া পর্যন্ত সমাবর্তন স্থলে সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ নিষেধ। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠান শেষে গাউন জমা দিয়ে নিজ নিজ বিভাগ থেকে সনদ ও গিফট গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সমাবর্তন উপলক্ষে চবির ঐতিহ্যবাহী শাটল ট্রেন রঙিন সাজে সাজানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়৷ এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। – সিভয়েস

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন