Dhaka ০৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল ঢাকায় আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ আয়োজিত “সংহতি সমাবেশ”, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

আগামীকাল ঢাকায় আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ আয়োজিত “সংহতি সমাবেশ”, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

আগামীকাল শনিবার ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে ,“আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ” আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য “সংহতি সমাবেশ” প্রসঙ্গে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আযহারী , সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বারী , শফিক আল মুজাদ্দেদী, ইমরান হুসাইন তুষার আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি দিয়েছেন ।

বিবৃতিতে তাঁরা জানান, এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং গণতন্ত্রমনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মিলিটারিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করা থেকে শুরু করে ২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান- বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদী শাসককে মেনে নেয়নি, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পতন ঘটিয়েছে। বেশিদিন আগের কথা নয়, মাত্র ৮ মাস আগে জীবন দিয়ে লড়াই করে আধিপত্যবাদী আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

এই রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে আমরা দেখেছি, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল তার আধিপত্যবাদ ও স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে ফিলিস্তিনের অসংখ্য মজলুম নাগরিককে শহীদ করে দিয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের শহীদের তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের মতো আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে ইন্ডিয়ার মোদি সরকার। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল হলো ইন্ডিয়া। তাঁর এই কথাকে আক্ষরিক অর্থে সঠিক প্রমাণ করতে মোদি সরকার যেন বদ্ধপরিকর। ইন্ডিয়ার অসাংবিধানিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার পরিপন্থী ওয়াকফ বিল পাসের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মেরুদণ্ডহীন গোষ্ঠীতে পরিণত করার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে তারা। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন, ওয়াকফ বিল পাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বহু মুসলমান নাগরিক শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য মজলুম মানুষ। সম্প্রতি কাশ্মীরে হয়ে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর জুলুম করার বৈধতা উৎপাদন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে সচেতন নাগরিক হিসেবে সম্মিলিত উদ্যোগে ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবো।

তাঁরা আরো বলেন , আগামীকাল “মাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন” নামক যে সমাবেশ হবার কথা ছিল তা কিছু পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের সহযোগী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর কারণে বাতিল হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তির কারণে সারাদেশে এই আয়োজনকে নিয়ে চরম বিতর্ক ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা চিহ্নিত আওয়ামী দোসরদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে, তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে নতুন ব্যানারে নতুন চিন্তা-চেতনার লক্ষ্যে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে এখনো অনলাইনে অফলাইনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত এই সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন , আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাকশালী জুলুমে শিকার হয়ে বাংলাদেশের যে নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনে গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, আমরা তাদের নাগরিক অধিকার ও লড়াইয়ের স্বপক্ষে সর্বদা অবস্থানের অঙ্গীকার পোষণ করছি। এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যারা জুলাই আগস্টে লড়াই করেছেন তারা কখনোই ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদী ভূমিকা, রাষ্ট্রীয় জুলুমকে সমর্থন করেন না, বরং ঘৃণা করেন। এই ঘৃণাকে ক্ষোভে পরিণত করে আগামীকালের আয়োজন থেকে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মুসলমান কেবল আভ্যন্তরীণ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতেই সীমাবদ্ধ নন, বরং আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও সমানভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত। আমরা রুখে দিতে চাই আন্তর্জাতিক জালেমদের, জানিয়ে দিতে চাই আমাদের সম্মিলিত গগনবিদারী ধ্বনি।

আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, বিগত সময়ে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, আগামীকালের আয়োজন কেন্দ্র করে যারা স্বৈরাচারের দোসরদের ব্যাপারে সজাগ ছিলেন, তারা স্বশরীরে হাজির হয়ে বৈশ্বিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও মজলুম মুসলমানদের পক্ষে জনমত গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন। আগামীর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদের জায়গা হবে না। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সময় দাঁড়াতে আমরা প্রস্তুত। দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামীকালের সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করুন।

গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ রাতে সারাদেশের কতিপয় স্থানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ নিয়ে আমাদের বক্তব্য: ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিভ্রান্তিকর ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু নিরীহ সুন্নি জনতা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মূলত ফ্যাসিবাদের দোসররা আপামর সাধারণ সুন্নি সুফি জনতার আবেগকে পুজিঁ করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী তরুণ আলেমরা সে অপচেষ্টাকে নস্যাত করেছে। জুলুম ও জালিম বিরোধী সুন্নি জনতাকে আর কখনোই কারো ব্যক্তি-স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না। আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই যে, আমরা দেশের যে কোন সংকটময় পরিস্থিতিতে ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বরাবরের মত বাংলাদেশের গণমানুষ ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।

সবশেষে তাঁরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেন , আগামীকাল ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, সকাল ৯টা থেকে গোলাপবাগ মাঠে কেবলমাত্র “আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ” প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আহবান জানাই এই প্লাটফর্ম ব্যতিত অন্য সকল প্লাটফর্মই দূরভীসন্ধিমূলক। তাই এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ থাকবে ।

তাছাড়া আজ সাংবাদ সম্মেলনের পরপরই রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও সকল দূরভিসন্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে বলে তাঁরা ।

খালেদ পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের জন্য ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ !

আগামীকাল ঢাকায় আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ আয়োজিত “সংহতি সমাবেশ”, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

আপডেটের সময় : ০৪:২৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

আগামীকাল শনিবার ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে ,“আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ” আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য “সংহতি সমাবেশ” প্রসঙ্গে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আযহারী , সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বারী , শফিক আল মুজাদ্দেদী, ইমরান হুসাইন তুষার আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতি দিয়েছেন ।

বিবৃতিতে তাঁরা জানান, এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং গণতন্ত্রমনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মিলিটারিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করা থেকে শুরু করে ২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান- বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদী শাসককে মেনে নেয়নি, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পতন ঘটিয়েছে। বেশিদিন আগের কথা নয়, মাত্র ৮ মাস আগে জীবন দিয়ে লড়াই করে আধিপত্যবাদী আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

এই রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে আমরা দেখেছি, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল তার আধিপত্যবাদ ও স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে ফিলিস্তিনের অসংখ্য মজলুম নাগরিককে শহীদ করে দিয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের শহীদের তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের মতো আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে ইন্ডিয়ার মোদি সরকার। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল হলো ইন্ডিয়া। তাঁর এই কথাকে আক্ষরিক অর্থে সঠিক প্রমাণ করতে মোদি সরকার যেন বদ্ধপরিকর। ইন্ডিয়ার অসাংবিধানিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার পরিপন্থী ওয়াকফ বিল পাসের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মেরুদণ্ডহীন গোষ্ঠীতে পরিণত করার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে তারা। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন, ওয়াকফ বিল পাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বহু মুসলমান নাগরিক শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য মজলুম মানুষ। সম্প্রতি কাশ্মীরে হয়ে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর জুলুম করার বৈধতা উৎপাদন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে সচেতন নাগরিক হিসেবে সম্মিলিত উদ্যোগে ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবো।

তাঁরা আরো বলেন , আগামীকাল “মাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন” নামক যে সমাবেশ হবার কথা ছিল তা কিছু পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের সহযোগী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর কারণে বাতিল হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তির কারণে সারাদেশে এই আয়োজনকে নিয়ে চরম বিতর্ক ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা চিহ্নিত আওয়ামী দোসরদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে, তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে নতুন ব্যানারে নতুন চিন্তা-চেতনার লক্ষ্যে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে এখনো অনলাইনে অফলাইনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত এই সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন , আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাকশালী জুলুমে শিকার হয়ে বাংলাদেশের যে নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মী গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনে গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, আমরা তাদের নাগরিক অধিকার ও লড়াইয়ের স্বপক্ষে সর্বদা অবস্থানের অঙ্গীকার পোষণ করছি। এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যারা জুলাই আগস্টে লড়াই করেছেন তারা কখনোই ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদী ভূমিকা, রাষ্ট্রীয় জুলুমকে সমর্থন করেন না, বরং ঘৃণা করেন। এই ঘৃণাকে ক্ষোভে পরিণত করে আগামীকালের আয়োজন থেকে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মুসলমান কেবল আভ্যন্তরীণ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতেই সীমাবদ্ধ নন, বরং আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও সমানভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত। আমরা রুখে দিতে চাই আন্তর্জাতিক জালেমদের, জানিয়ে দিতে চাই আমাদের সম্মিলিত গগনবিদারী ধ্বনি।

আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, বিগত সময়ে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, আগামীকালের আয়োজন কেন্দ্র করে যারা স্বৈরাচারের দোসরদের ব্যাপারে সজাগ ছিলেন, তারা স্বশরীরে হাজির হয়ে বৈশ্বিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও মজলুম মুসলমানদের পক্ষে জনমত গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন। আগামীর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার ও আধিপত্যবাদের জায়গা হবে না। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সময় দাঁড়াতে আমরা প্রস্তুত। দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, ইসরায়েল ও ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামীকালের সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করুন।

গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ রাতে সারাদেশের কতিপয় স্থানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ নিয়ে আমাদের বক্তব্য: ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিভ্রান্তিকর ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু নিরীহ সুন্নি জনতা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মূলত ফ্যাসিবাদের দোসররা আপামর সাধারণ সুন্নি সুফি জনতার আবেগকে পুজিঁ করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী তরুণ আলেমরা সে অপচেষ্টাকে নস্যাত করেছে। জুলুম ও জালিম বিরোধী সুন্নি জনতাকে আর কখনোই কারো ব্যক্তি-স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না। আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই যে, আমরা দেশের যে কোন সংকটময় পরিস্থিতিতে ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বরাবরের মত বাংলাদেশের গণমানুষ ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।

সবশেষে তাঁরা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেন , আগামীকাল ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, সকাল ৯টা থেকে গোলাপবাগ মাঠে কেবলমাত্র “আধিপত্যবাদ বিরোধী মুসলিম ঐক্য মঞ্চ” প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আহবান জানাই এই প্লাটফর্ম ব্যতিত অন্য সকল প্লাটফর্মই দূরভীসন্ধিমূলক। তাই এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ থাকবে ।

তাছাড়া আজ সাংবাদ সম্মেলনের পরপরই রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও সকল দূরভিসন্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে বলে তাঁরা ।

খালেদ পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন