বঙ্গোপসাগরে যেকোনো ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা।
এবার ভারত ও বাংলাদেশের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় প্রায় একই। বাংলাদেশের জেলেরা জানান, এবার দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার অবসান হয়েছে। আগে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রায় ৩৯ দিন আগেই উঠে যেত। এতে বেশিরভাগ মাছ ধরা পড়তো ভারতীয় জেলেদের হাতে। এবার আর সেই সুযোগ থাকছে না।
এদিকে সীতাকুন্ড উপজেলা কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সামুদ্রিক জলসীমায় ৫৮ দিন বন্ধ মাছ ধরা বন্ধের উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিকালে সভায় ৫৮ দিন বন্ধ উপলক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন পুলিশ পরিদর্শক আবদুল মোনাফ .কোষ্ট-গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জগদীশ শীল,উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবদুল আলিম, শোভন কান্তি ভৌমিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কুমিরা ইউপি, মোঃ হাফেজ আহমেদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, সুজন ঘোষ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ আলী নেওয়াজ প্রধান শিক্ষক, মোঃ ইদ্রিস মিয়া মনির কুমিরা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সভাপতি, লিটন দাশ সভাপতি জেলে ফেডারেশন, মোঃ ইলিয়াস আহবায়ক মৎস্যজীবী দল, মনোয়ারা বেগম ইউ/পি মহিলা সদস্য কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ, মঈন উদ্দীন আহমেদ মানবাধিকার কর্মী।
সভায় বক্তারা বলেন, নিষিদ্ধকালীন সময়ে সরকার মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ ও জেলেদের আত্মসামাজিক উন্নয়নের জন্য বকনা বাছুর প্রদান করেন। এবং দেশের সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ৫৮ দিন বন্ধ মেনে চলার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রসাশনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন – মাছ ধরার নৌকা গুলোকে লাইসেন্সের আওতায় ও ধাদন থেকে মুক্তি পাবার জন্য সরকার মৎস্য ব্যাংকের উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান। জেলেদের মানবিক সহায়তা হিসেবে টিসিবির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আহ্বান জানান তিনি ।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;