Dhaka ০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেল সেবার মানোন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে -ফাওজুল কবির খান

রেল সেবার মানোন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে -ফাওজুল কবির খান

বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেল সেবার মানোন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রেলের কর্মীদের রেলসেবার মান কিভাবে বাড়াতে পারে সেব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। রাস্তার কাজ বা পানি সরবরাহ রেলের কাজ নয়। সেগুলোর জন্য আলাদা দপ্তর রয়েছে।

শক্রবার সিআরবিতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, রেল সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের সব রেল হাসপাতালকে রেলওয়ে হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করবো। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও রোগীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে মানুষ চিকিৎসার জন্য আশ্বস্ত বোধ করে। এখানে রেলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর চাপ কমবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, রেলসেবাকে আরো উন্নত করতে আমরা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আজ সকালে আমি রেল ওর্য়াকশপ পরিদর্শন করি। ওর্য়াকশপের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এগুলোকে রিপেয়ার, মেইন্টেন্যান্স এবং এসেম্বলি ওর্য়াকশপে পরিণত করব। রেলের এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ হয়। এভাবে হলে চলবে না। এটি দুই টাকার নিচে নিয়ে আসতে হবে।

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। জনগণকে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে হবে। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখতে হবে। তারপরও যদি লোডশেডিং হয় সেটা প্রথমে ঢাকায় হবে, পরে দেশের অন্য জায়গায় হবে। আগের মত শুধু গ্রামে হবে না।

ফাওজুল কবীর খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প কাজের অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটা বিষয় দেখে খারাপ লাগছে, খালগুলো পরিষ্কার করার কিছুদিনের মধ্যে মানুষ আবারো ময়লা ফেলে ভরাট করে ফেলছে। আমি বিভাগীয় কমিশনারকে বলেছি স্থানীয় মানুষদের সাথে নিয়ে তাদেরকে এসব ব্যাপারে সচেতন করার পাশাপাশি কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামের মানুষের মুক্তি মিলবে।

খালেদ /পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

রেল সেবার মানোন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে -ফাওজুল কবির খান

আপডেটের সময় : ০৪:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেল সেবার মানোন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রেলের কর্মীদের রেলসেবার মান কিভাবে বাড়াতে পারে সেব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। রাস্তার কাজ বা পানি সরবরাহ রেলের কাজ নয়। সেগুলোর জন্য আলাদা দপ্তর রয়েছে।

শক্রবার সিআরবিতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, রেল সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের সব রেল হাসপাতালকে রেলওয়ে হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করবো। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও রোগীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে মানুষ চিকিৎসার জন্য আশ্বস্ত বোধ করে। এখানে রেলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর চাপ কমবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, রেলসেবাকে আরো উন্নত করতে আমরা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আজ সকালে আমি রেল ওর্য়াকশপ পরিদর্শন করি। ওর্য়াকশপের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এগুলোকে রিপেয়ার, মেইন্টেন্যান্স এবং এসেম্বলি ওর্য়াকশপে পরিণত করব। রেলের এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ হয়। এভাবে হলে চলবে না। এটি দুই টাকার নিচে নিয়ে আসতে হবে।

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। জনগণকে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে হবে। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখতে হবে। তারপরও যদি লোডশেডিং হয় সেটা প্রথমে ঢাকায় হবে, পরে দেশের অন্য জায়গায় হবে। আগের মত শুধু গ্রামে হবে না।

ফাওজুল কবীর খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প কাজের অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটা বিষয় দেখে খারাপ লাগছে, খালগুলো পরিষ্কার করার কিছুদিনের মধ্যে মানুষ আবারো ময়লা ফেলে ভরাট করে ফেলছে। আমি বিভাগীয় কমিশনারকে বলেছি স্থানীয় মানুষদের সাথে নিয়ে তাদেরকে এসব ব্যাপারে সচেতন করার পাশাপাশি কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামের মানুষের মুক্তি মিলবে।

খালেদ /পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন