Dhaka ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার স্বামী কি কোরবানির গরু?, কোমরে দড়ি বেঁধে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: তামান্না

কোমরে দড়ি বেঁধে ঘুরিয়ে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: তামান্না

কোমরে দড়ি বেঁধে আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ঘুরিয়ে ও মাইকিং করে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন। শুধু তাই নয় এ ঘটনাকে তার স্বামী ও পরিবারের জন্য অপমানজনক উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং মামলা করবেন বলে জানান।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাউজানের কদলপুরে ও ৭ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিং করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি আরও বলেন,  আমার স্বামী কি কোরবানির গরু? যে তাকে এভাবে কোমরে রশি বেঁধে ঘুরানো হলো? তার কেউ নেই বলে এমনটা করা হলো? আমিও মেয়ে মানুষ আমাকে ৩টা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওসি আরিফ আমার স্বামীকে নিয়ে মাইকিং করছে। পুলিশ যা ইচ্ছে তাই করছে সাজ্জাদকে নিয়ে। ওরা সিম্পেথি (সহানুভূতি) নেওয়ার জন্য আমার স্বামীকে রাস্তায় নামিয়ে… আমার স্বামীকে গুলি করে মারতে পারতেছে না?’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে ওসি আরিফ বা সিএমপির কোন কর্মকর্তাই গ্রেপ্তার করেনি। সূচী নামে এক মেয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়৷ ৩ ঘন্টা পর পুলিশ আসে। তারপর আমিসহ গ্রেপ্তার হই এবং পরদিন আমি ছাড়া পাই৷ তামান্না শারমিন বলেন, কোথাও এমন নজির নাই যে রিমান্ডের আসামিকে এভাবে দড়ি বেঁধে প্রকাশ্যে শোডাউন করা? আমি জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখলাম এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

এদিকে হাতকড়া হাতে আসামিকে নিয়ে পুলিশের ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিংয়ের ঘটনায় নগরবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিকে এনে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তার সহযোগীদের ধরা কিংবা অস্ত্র উদ্ধার বা অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান করা হাস্যকর ঘটনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনসুর নবী নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, আমি আইন কম জানি। পুলিশের নিয়মকানুন এবং ইথিকস সর্ম্পকেও কম জানি। তবে কোনো একটা সভ্য দেশে একজন অপরাধীকে নিয়ে এভাবে রাস্তায় রাস্তায় লোকালয়ে কোমরে দঁড়ি বেধে ঘুরিয়ে প্রদর্শন করে মানুষকে সচেতন করার নজির নেই। আপনি যদি মানুষকে সচেতন করতে চান তাহলে থানাগুলো ঠিক করেন। পুলিশকে ঠিক করেন। ঘুষ খাওয়া বন্ধ করেন। থানাকে মানুষ কেন ভয় পায় সেটার কারণ খুজে বের করুন। মানুষের ভয় দূর করেন। জুলাইয়ের পর আমি ভেবেছিলাম আমরা সভ্য হওয়ার পথে আছি। কিন্তু তাদের নানা কর্মকাণ্ড দেখে বুঝতেছি আমরা সামনে না পিছনে যাচ্ছি। সাজ্জাদকে নিয়ে এই প্রদর্শনীটা অত্যন্ত কুৎসিত, আনইথিক্যাল এবং বেআইনি। এইসব পপুলিস্ট কাজ করে গণ্ডমূর্খদের বাহবা পাওয়া যাবে, দেশকে সভ্য করা যাবে না।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেন এক দম্পতি। এর আগে ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজমের সোয়াট সদস্যরা সাজ্জাদকে ঘিরে হাঁটছেন। হাতকড়া পরা ‘ছোট সাজ্জাদের’ গায়ে ভেস্ট ও মাথায় হেলমেট।

পুলিশের একজন হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘সন্ত্রাসী ও ত্রাস ছোট সাজ্জাদকে সিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। আপনাদের এলাকায় যদি কোনো সন্ত্রাসী নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে ছোট সাজ্জাদের মতো তাদের পরিণতি হবে।

এদিকে হাতকড়া হাতে আসামিকে নিয়ে পুলিশের ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিংয়ের ঘটনায় নগরবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিকে এনে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তার সহযোগীদের ধরা কিংবা অস্ত্র উদ্ধার বা অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান করা হাস্যকর ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, রিমান্ডে আসামিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের জন্য যেমন, কার কাছে অস্ত্র আছে, কে অর্থ দেয়, নেপথ্যে কে কে ইত্যাদি জানার বিষয় আছে। তবে, মাইকিং করে আসামিকে প্রদর্শন করার এমন নজির নেই।

উল্লেখ্য, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে ‘ব্রাশফায়ার’ জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটে। এতে আহত হন আরও দুজন। নিহত ও আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের একজন বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্না শারমিনসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। এছাড়াও চাঁন্দগাও থানার তাহসীন হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড  মঞ্জুর করেছেন আদালত।

খালেদ / পোস্টকার্ড;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

তেলের ডিপোতে পড়ে সীতাকুণ্ডে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩

আমার স্বামী কি কোরবানির গরু?, কোমরে দড়ি বেঁধে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: তামান্না

আপডেটের সময় : ০৫:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

কোমরে দড়ি বেঁধে আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ঘুরিয়ে ও মাইকিং করে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন। শুধু তাই নয় এ ঘটনাকে তার স্বামী ও পরিবারের জন্য অপমানজনক উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং মামলা করবেন বলে জানান।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাউজানের কদলপুরে ও ৭ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিং করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি আরও বলেন,  আমার স্বামী কি কোরবানির গরু? যে তাকে এভাবে কোমরে রশি বেঁধে ঘুরানো হলো? তার কেউ নেই বলে এমনটা করা হলো? আমিও মেয়ে মানুষ আমাকে ৩টা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওসি আরিফ আমার স্বামীকে নিয়ে মাইকিং করছে। পুলিশ যা ইচ্ছে তাই করছে সাজ্জাদকে নিয়ে। ওরা সিম্পেথি (সহানুভূতি) নেওয়ার জন্য আমার স্বামীকে রাস্তায় নামিয়ে… আমার স্বামীকে গুলি করে মারতে পারতেছে না?’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে ওসি আরিফ বা সিএমপির কোন কর্মকর্তাই গ্রেপ্তার করেনি। সূচী নামে এক মেয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়৷ ৩ ঘন্টা পর পুলিশ আসে। তারপর আমিসহ গ্রেপ্তার হই এবং পরদিন আমি ছাড়া পাই৷ তামান্না শারমিন বলেন, কোথাও এমন নজির নাই যে রিমান্ডের আসামিকে এভাবে দড়ি বেঁধে প্রকাশ্যে শোডাউন করা? আমি জনগণের কাছে প্রশ্ন রাখলাম এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

এদিকে হাতকড়া হাতে আসামিকে নিয়ে পুলিশের ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিংয়ের ঘটনায় নগরবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিকে এনে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তার সহযোগীদের ধরা কিংবা অস্ত্র উদ্ধার বা অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান করা হাস্যকর ঘটনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনসুর নবী নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, আমি আইন কম জানি। পুলিশের নিয়মকানুন এবং ইথিকস সর্ম্পকেও কম জানি। তবে কোনো একটা সভ্য দেশে একজন অপরাধীকে নিয়ে এভাবে রাস্তায় রাস্তায় লোকালয়ে কোমরে দঁড়ি বেধে ঘুরিয়ে প্রদর্শন করে মানুষকে সচেতন করার নজির নেই। আপনি যদি মানুষকে সচেতন করতে চান তাহলে থানাগুলো ঠিক করেন। পুলিশকে ঠিক করেন। ঘুষ খাওয়া বন্ধ করেন। থানাকে মানুষ কেন ভয় পায় সেটার কারণ খুজে বের করুন। মানুষের ভয় দূর করেন। জুলাইয়ের পর আমি ভেবেছিলাম আমরা সভ্য হওয়ার পথে আছি। কিন্তু তাদের নানা কর্মকাণ্ড দেখে বুঝতেছি আমরা সামনে না পিছনে যাচ্ছি। সাজ্জাদকে নিয়ে এই প্রদর্শনীটা অত্যন্ত কুৎসিত, আনইথিক্যাল এবং বেআইনি। এইসব পপুলিস্ট কাজ করে গণ্ডমূর্খদের বাহবা পাওয়া যাবে, দেশকে সভ্য করা যাবে না।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেন এক দম্পতি। এর আগে ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেররিজমের সোয়াট সদস্যরা সাজ্জাদকে ঘিরে হাঁটছেন। হাতকড়া পরা ‘ছোট সাজ্জাদের’ গায়ে ভেস্ট ও মাথায় হেলমেট।

পুলিশের একজন হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘সন্ত্রাসী ও ত্রাস ছোট সাজ্জাদকে সিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। আপনাদের এলাকায় যদি কোনো সন্ত্রাসী নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে ছোট সাজ্জাদের মতো তাদের পরিণতি হবে।

এদিকে হাতকড়া হাতে আসামিকে নিয়ে পুলিশের ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিংয়ের ঘটনায় নগরবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিকে এনে প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তার সহযোগীদের ধরা কিংবা অস্ত্র উদ্ধার বা অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান করা হাস্যকর ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, রিমান্ডে আসামিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের জন্য যেমন, কার কাছে অস্ত্র আছে, কে অর্থ দেয়, নেপথ্যে কে কে ইত্যাদি জানার বিষয় আছে। তবে, মাইকিং করে আসামিকে প্রদর্শন করার এমন নজির নেই।

উল্লেখ্য, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে ‘ব্রাশফায়ার’ জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটে। এতে আহত হন আরও দুজন। নিহত ও আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের একজন বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্না শারমিনসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। এছাড়াও চাঁন্দগাও থানার তাহসীন হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড  মঞ্জুর করেছেন আদালত।

খালেদ / পোস্টকার্ড;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন