Dhaka ১১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানির আয়োজন , চলছে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে

সীতাকুণ্ডে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানির আয়োজন , চলছে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে

প্রতিবারের মতো এবারও সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে  ঐতিহ্যবাহী  জানে উল্যাহ মুন্সী বাড়ির জামে মসজিদ, নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ও কিল্লাপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিরা । 

দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদগুলোতে ঈদুল ফিতরের দিনে এই তিন মসজিদে ৮ হাজার লোকের মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয় ।

উপজেলা ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এর পশ্চিমে অবস্থিত জানে উল্যাহ মুন্সী বাড়ির জামে মসজিদটি প্রায় চারশত বছরের পুরোনো। মুঘল আমলে নান্দনিক নকশায় দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি। বিগত ৩০/৩৫ বছর ধরে এ ঐতিহ্যবাহী মসজিদে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানীর খাবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত মুন্সিবাড়ির বসতিরা ঈদের দিন এই মেজবানি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে ।

এছাড়া পাশবর্তী গ্রামে অবস্থিত নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ও কিল্লাপাড়া জামে মসজিদেও এ মেজবানীর আয়োজন করা হয়েছে। এই দুই মসজিদে দুইটি করে গরু জবাই করে মেজবানী স্বাদ নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা ছাড়াও ঈদের দিন বেড়াতে আসা মেহমানরা এই মেজবানীর স্বাদ নেন । এবারও পুরো এলাকা জুড়ে প্রসিদ্ধ বাবুর্চি আবু তাহেরের রান্না করা মেজবানীর মাংসের স্বাদের সুনাম কুড়িয়েছে ।

ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এবার ঈদে দুইটি গরু দিয়ে মেজবানীর খাবার ২ হাজার জনকে খাবানো হয়েছে। ঈদের আনন্দের সাথে এটি বাড়তি একটি আয়োজন।

কিল্লাপাড়া জামে মসজিদের দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ঈদের এই বিশেষ দিনে এমন একটা ব্যতিক্রমী মেজবানির আয়োজন করে সাবার মাঝে ঈদের আনন্দ বিলিয়ে দিতে  ।

মুন্সিবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মুন্সি জানিয়েছেন, মাহে রমজান শেষে যখন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় তখন ঈদের পূর্বে চাঁদরাতে শুরু হয় মেজবানির অনুষ্ঠানিকতা। এ ঈদে চারটি গরু দিয়ে মেজবানী খাবার তৈরি করা হয়। সকালে ঈদের জামায়াতের পূর্বে সকলের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় মেজবানীর মাংসসহ খাদ্য সামগ্রী।  যাতে করে ঈদের নামাজ শেষ করে ঘরে গিয়ে মেজবানীর মাংস দিয়ে খাবার খেতে পারে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

সীতাকুণ্ডে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানির আয়োজন , চলছে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে

আপডেটের সময় : ০৬:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

প্রতিবারের মতো এবারও সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে  ঐতিহ্যবাহী  জানে উল্যাহ মুন্সী বাড়ির জামে মসজিদ, নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ও কিল্লাপাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিরা । 

দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদগুলোতে ঈদুল ফিতরের দিনে এই তিন মসজিদে ৮ হাজার লোকের মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয় ।

উপজেলা ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এর পশ্চিমে অবস্থিত জানে উল্যাহ মুন্সী বাড়ির জামে মসজিদটি প্রায় চারশত বছরের পুরোনো। মুঘল আমলে নান্দনিক নকশায় দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি। বিগত ৩০/৩৫ বছর ধরে এ ঐতিহ্যবাহী মসজিদে ঈদুল ফিতরের দিনে মেজবানীর খাবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত মুন্সিবাড়ির বসতিরা ঈদের দিন এই মেজবানি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে ।

এছাড়া পাশবর্তী গ্রামে অবস্থিত নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ ও কিল্লাপাড়া জামে মসজিদেও এ মেজবানীর আয়োজন করা হয়েছে। এই দুই মসজিদে দুইটি করে গরু জবাই করে মেজবানী স্বাদ নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা ছাড়াও ঈদের দিন বেড়াতে আসা মেহমানরা এই মেজবানীর স্বাদ নেন । এবারও পুরো এলাকা জুড়ে প্রসিদ্ধ বাবুর্চি আবু তাহেরের রান্না করা মেজবানীর মাংসের স্বাদের সুনাম কুড়িয়েছে ।

ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে মেজবানী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এবার ঈদে দুইটি গরু দিয়ে মেজবানীর খাবার ২ হাজার জনকে খাবানো হয়েছে। ঈদের আনন্দের সাথে এটি বাড়তি একটি আয়োজন।

কিল্লাপাড়া জামে মসজিদের দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ঈদের এই বিশেষ দিনে এমন একটা ব্যতিক্রমী মেজবানির আয়োজন করে সাবার মাঝে ঈদের আনন্দ বিলিয়ে দিতে  ।

মুন্সিবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মুন্সি জানিয়েছেন, মাহে রমজান শেষে যখন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় তখন ঈদের পূর্বে চাঁদরাতে শুরু হয় মেজবানির অনুষ্ঠানিকতা। এ ঈদে চারটি গরু দিয়ে মেজবানী খাবার তৈরি করা হয়। সকালে ঈদের জামায়াতের পূর্বে সকলের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় মেজবানীর মাংসসহ খাদ্য সামগ্রী।  যাতে করে ঈদের নামাজ শেষ করে ঘরে গিয়ে মেজবানীর মাংস দিয়ে খাবার খেতে পারে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন