Dhaka ০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, ভারতের বিপক্ষে ‘সাউথ এশিয়ান ডার্বি’ জিততে চান

  • ক্রীড়া ডেস্ক ।।
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৩৯ টাইম ভিউ

দেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, ভারতের বিপক্ষে ‘সাউথ এশিয়ান ডার্বি’ জিততে চান

বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১১.৪০ মিনিটে হামজাকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন। বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটর উদ্দেশ্যে রওনা হন হামজা। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা একমাত্র ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা হামজা এবার খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। সেই লক্ষ্যে সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেছেন তিনি। তারপর চলে গেছেন সোজা হবিগঞ্জে নিজের বাপ-দাদার ভিটায়।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে এই তারকার। এই ম্যাচটি খেলতেই তিনি দেশে এসেছেন। এর আগে অনেকবার বাংলাদেশে এলেও এবার তার আগমন পায় বিশেষ মাত্রা।
বিমানবন্দরে নামার বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১২টার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হামজা।
উপস্থিত দর্শক-ভক্তদের উচ্ছ্বাস দেখে হামজা বলেন, ‘এমিজিং, এমিজিং। দীর্ঘদিন (১১ বছর) পর এখানে আসতে পেরে আমি এক্সাইটেড।’
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচকে সাউথ এশিয়ান ডার্বি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন,‘ইন আল্লাহ আমরা ডার্বি জেতার আশা রাখি এবং এ ম্যাচ জিতে আমরা উন্নতি করতে চাই।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারের কাছে বাংলায় প্রত্যাশা জানতে চাওয়ার প্রশ্নটি ইংরেজিতে করা হলে তিনি প্রথমে বুঝেননি,‘আমি বুঝছি না , বুঝছি না’। এরপর পুরোপুরি বাংলায় প্রশ্ন হওয়ার পর হামজা সিলেটি ভাষায় বেশ সুন্দরভাবে বলেন,‘ইন শা আল্লাহ আমরা উইন করমু। আমরার বিগ ড্রেম আছে, আমি কোচ হ্যাভিয়েরের সঙ্গে মাতসি (কথা বলেছি)। ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করে প্রোগ্রেস করতে পারমু।’
বাফুফে কর্তারা গণমাধ্যম সামলাতে পারছিলেন না। দ্রুত মিডিয়া সেশন শেষ করে হামজাকে ভেতরে নিয়ে যেতে চান। শুরুর প্রশ্নই আবার শেষে করা হয়-বাংলাদেশে এসে এত উন্মাদনা-ভালোবাসা কেমন লাগছে? এর উত্তরে হামজা বলেন,‘আমার হৃদয় পূর্ণ’। এই মন্তব্যের পরপরই হামজাকে বাফুফে কর্তারা ভেতরে নেন।
হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে বিমান বন্দরের আশেপাশে বিরাজ করছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। হামজার অবতরণের পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

দেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, ভারতের বিপক্ষে ‘সাউথ এশিয়ান ডার্বি’ জিততে চান

আপডেটের সময় : ০৯:২৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১১.৪০ মিনিটে হামজাকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন। বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটর উদ্দেশ্যে রওনা হন হামজা। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা একমাত্র ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলা হামজা এবার খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে। সেই লক্ষ্যে সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেছেন তিনি। তারপর চলে গেছেন সোজা হবিগঞ্জে নিজের বাপ-দাদার ভিটায়।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে এই তারকার। এই ম্যাচটি খেলতেই তিনি দেশে এসেছেন। এর আগে অনেকবার বাংলাদেশে এলেও এবার তার আগমন পায় বিশেষ মাত্রা।
বিমানবন্দরে নামার বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১২টার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হামজা।
উপস্থিত দর্শক-ভক্তদের উচ্ছ্বাস দেখে হামজা বলেন, ‘এমিজিং, এমিজিং। দীর্ঘদিন (১১ বছর) পর এখানে আসতে পেরে আমি এক্সাইটেড।’
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচকে সাউথ এশিয়ান ডার্বি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন,‘ইন আল্লাহ আমরা ডার্বি জেতার আশা রাখি এবং এ ম্যাচ জিতে আমরা উন্নতি করতে চাই।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারের কাছে বাংলায় প্রত্যাশা জানতে চাওয়ার প্রশ্নটি ইংরেজিতে করা হলে তিনি প্রথমে বুঝেননি,‘আমি বুঝছি না , বুঝছি না’। এরপর পুরোপুরি বাংলায় প্রশ্ন হওয়ার পর হামজা সিলেটি ভাষায় বেশ সুন্দরভাবে বলেন,‘ইন শা আল্লাহ আমরা উইন করমু। আমরার বিগ ড্রেম আছে, আমি কোচ হ্যাভিয়েরের সঙ্গে মাতসি (কথা বলেছি)। ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করে প্রোগ্রেস করতে পারমু।’
বাফুফে কর্তারা গণমাধ্যম সামলাতে পারছিলেন না। দ্রুত মিডিয়া সেশন শেষ করে হামজাকে ভেতরে নিয়ে যেতে চান। শুরুর প্রশ্নই আবার শেষে করা হয়-বাংলাদেশে এসে এত উন্মাদনা-ভালোবাসা কেমন লাগছে? এর উত্তরে হামজা বলেন,‘আমার হৃদয় পূর্ণ’। এই মন্তব্যের পরপরই হামজাকে বাফুফে কর্তারা ভেতরে নেন।
হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে বিমান বন্দরের আশেপাশে বিরাজ করছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। হামজার অবতরণের পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন