সীতাকুণ্ডে সত্তর বছর বয়সী মোঃ ইউসুফ(৭০)নামে ধর্ষককে পিটিয়ে পুলিশে দিল জনতা।
সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার ভাটিয়ারি হাসানবাদ সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে এই ঘটনা ঘটায়। এর আগে বিকালে গ্রামে দফারফা করে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে গ্রামের সংঙ্গবদ্ধ চক্র। রাত দশটার দিকে স্থানীয় জনতার পিঠানি থেকে ধর্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের শিকার নয় বছরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাড়া বাসার বাসিন্দা বলেন, ইউসুফ লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট ছেলেরা ওকে অনেক ভয় পায়। আজকে লোকজনের অজান্তে একশত টাকার লোভ দেখিয়ে পুকুরপাড় থেকে মেয়েটিকে কোলে করে নিজের বাসার দোতালায় নিয়ে যায়। সেইখানে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের কিছু লোকজন বসে দশ লক্ষ টাকার দফারফা হয়। এতে শিশুর পক্ষও মেনে নেয়। কিন্তু টাকা ভাগ বাটোরা নিয়ে দফারফা করতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। ধর্ষকের ছেলের একটি কথাতে গ্রামবাসির মধ্যে দুই পক্ষ হয়ে যায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। রাতে তারাবি নামাজের পর বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় স্থানীয় জনতা ধর্ষককে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিঠনি শুরু করে। পরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা বলেন,জনগণের রোসানল থেকে আমরা সতর বছর বয়সী ধর্ষক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি এবং ধর্ষণের শিকার নয় বছরের আহত শিশুটিকে প্রথমে থানায় ও পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ধমন আইনে মামলা পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
খালেদ /পোস্টকার্ড ;