Dhaka ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভাটিয়ারীতে দীর্ঘ মানব বন্ধন

সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভাটিয়ারীতে দীর্ঘ মানব বন্ধন

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান ষড়যন্ত্র এবং এই শিল্পের বিরাজমান সংকট মোকাবিলার দাবীতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সমাবেশ ও মানববন্ধন ভাটিয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ) উপজেলার ভাটিয়ারী শহিদ মিনার চত্বরে এই মহাসমাবেশ ও মানববন্ধন ভাটিয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প প্রতিনিয়ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার । এই শিল্প এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ও পরিবেশ সম্মত। এই শিল্পকে নিয়ে নেতিবাচক অভিযোগ আর মিথ্যা অপবাদ দেশে বিদেশে চলমান রয়েছে। এ সকল কারণে পুরানো জাহাজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এর পাশাপাশি যে সকল জাহাজ রিসাইক্লিং এর জন্য আনা হচ্ছে সে সকল আমদানীকৃত জাহাজের বিচিং এবং কাটিং পারমিশন প্রাপ্তিতেও অনাকাঙ্ক্ষিত ও অহেতুক মাসের পর মাস বিলম্ব হচ্ছে। আর এর ফলে ইয়ার্ড (জাহাজ ভাঙ্গা কারখানা) গুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকছে। শিল্পটি সংকটে থাকলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

তারা বলেন , এই শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষাধিক শ্রমিক। সম্প্রতি পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী (টিডিএস), ৩০ হাজার কোটি টাকার এই শিল্প প্রতিবছর সরকারকে ১৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব দেয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে লক্ষ কোটি টাকার প্রাণসঞ্চার করেছে। অথচ নানা অজুহাতে এই শিল্পে বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বহুদিন ধরে। সরকারের আইন মেনেই এই শিল্প হংকং কনভেনশনের (জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে পরিবেশসম্মত ও নিরাপদ বজায় রাখার আন্তর্জাতিক আইন) আলোকে গ্রীন শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।ইতোমধ্যে সাতটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড গ্রীণ ইয়ার্ড হিসেবে সনদ লাভ করেছে। আরো ১০টি ইয়ার্ড গ্রীন সনদ পেতে প্রস্তুত। বাকীগুলোও শ্রীন ইয়ার্ড হিসেবে সনদ লাজের কাজ চলছে ।

বক্তারা আরো বলেন, এই শিল্প গত এক যুগের অধিক সময় ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিরাপদ ও পরিবেশ সম্মতভাবে এই শিল্পের উন্নয়নের কাজ করেছে। সরকার ২০১৬ সালে হংকং কনভেনশন রেটিফাইও করেছে। এই শিল্পকে শ্রীন শিপ রিসাইক্লিং হিসেবে উন্নয়নের জন্য মালিকদের খরচ হয়ে গেছে হাজার কোটি টাকার বেশী। আর এখন যদি বলা হয় এই শিল্প পরিবেশগত মান মোটেও উন্নতি হচ্ছে না তাহলে সেটি হবে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র। শুধু শ্রমিক নয়, এই শিল্পের বেকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ নানা বাবসার সাথে জড়িত আছে হাজার হাজার ব্যবসায়ী, নির্ভরশীল তাদের পরিবার এবং তাদের কর্মচারীবৃন্দ। সীতাকুন্ডের প্রত্যেকটা মধাম ও নিম্ন আয়ের পরিবার এই শিল্পের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। সীতাকুন্ড এর মানুষের জনা এটি আশীর্বাদ। জাহাজ ভাংগা শিল্প হতে পাওয়া যায় উন্নত মানের লোহাসহ শতাধিক রকম পণ্য। যেগুলো প্রাণ সঞ্চার করছে দেশের ইস্পাত শিয় থেকে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ব্যাংকিং, বা রপ্তানি বাণিজ্যের মতো অন্তত ৮টি খাতে। এই শিল্পকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে ১ লাখ কোটি টাকার অর্থনীতি। অন্ধকার অধ্যায় আর হতাশার গল্প ছাপিয়ে এই খাত এখন বলছে সম্ভাবনা আর রূপান্তরের গল্প। আর এমন সময়ে পরিবেশ প্রতিবেশ এর সোহায় দিয়ে এই শিল্পকে বন্ধ করতে যে কোন ষড়যন্ত্র সীতাকুন্ড এর মানুষ জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের আহ্বায়ক ও পুরাতন জাহাজের ফার্নিচার সমিতির সভাপতি জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিষদের সমস্যা-সচিব ও শিপ ব্রেকিং শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মম্মদ জাবেদ, পরিষদের সদস্য মোঃ নবী, মোঃ খালেদ মঞ্জু, শেখ সাহাব জমিন, মোঃ নছিম, মোঃ ছালামাত আলী, মোঃ মইন উদ্দিন, মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ শাহ জামান, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ আলমগীর, মোঃ পাঠকুল আলম, মোঃ নাজিম উদৌলা, মোঃ মোজাহের আলম, মোঃ নজির আহম্মদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ হামিদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ রবিউল এক (শ্রমিক নেতা), মোঃ তসলিম, মোঃ রানা, মোঃ মহিউদ্দিন, রজন বাবু।

এছাড়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলো সীতাকুন্ড পাইপ বাবসায়ী কল্যান সমিতি, পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক সমিতি, সীতাকুণ্ড পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক ক্যাবল সমিতি, ভাটিয়ারী নব জাগরন মেটাল, শীতলপুর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, শাপলা বাবসায়ী সমবায় সমিতি, রশি দোকান মালিক সমিতি, শীতলপুর ইউনিটি সংসদ, জেনারেল ষ্টোর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, সীতাকুন্ড শীপ ব্রেকিং ওয়েল বাবসায়ী সমবায় সমিতি, কোল্ড ষ্টোর, কিচেন রুম সমিতি, পুরাতন জাহাজের ফার্নিচার সমিতি, পুরাতন জাহাজের হার্ডওয়্যার মালিক সমিতি, দোকানদারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন জাহাজ ভাঙ্গা কারখানা হতে আগত হাজারো শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।

সাশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মচারীরা দাবী জানান, আমরা আহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশী যে কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অবসান চাই। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প রক্ষার জন্য সকল অন্তরায়/সমস্যাবলী নিরসন সহ সরকার তথা-বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারণ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বাঁচলে এ শিল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হাজার হাজার শ্রমিক বাঁচবে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে বলে জানান তারা ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারদের কাটছে নির্ঘুম রাত

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভাটিয়ারীতে দীর্ঘ মানব বন্ধন

আপডেটের সময় : ১০:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান ষড়যন্ত্র এবং এই শিল্পের বিরাজমান সংকট মোকাবিলার দাবীতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সমাবেশ ও মানববন্ধন ভাটিয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ) উপজেলার ভাটিয়ারী শহিদ মিনার চত্বরে এই মহাসমাবেশ ও মানববন্ধন ভাটিয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প প্রতিনিয়ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার । এই শিল্প এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ও পরিবেশ সম্মত। এই শিল্পকে নিয়ে নেতিবাচক অভিযোগ আর মিথ্যা অপবাদ দেশে বিদেশে চলমান রয়েছে। এ সকল কারণে পুরানো জাহাজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এর পাশাপাশি যে সকল জাহাজ রিসাইক্লিং এর জন্য আনা হচ্ছে সে সকল আমদানীকৃত জাহাজের বিচিং এবং কাটিং পারমিশন প্রাপ্তিতেও অনাকাঙ্ক্ষিত ও অহেতুক মাসের পর মাস বিলম্ব হচ্ছে। আর এর ফলে ইয়ার্ড (জাহাজ ভাঙ্গা কারখানা) গুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকছে। শিল্পটি সংকটে থাকলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

তারা বলেন , এই শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষাধিক শ্রমিক। সম্প্রতি পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী (টিডিএস), ৩০ হাজার কোটি টাকার এই শিল্প প্রতিবছর সরকারকে ১৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব দেয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে লক্ষ কোটি টাকার প্রাণসঞ্চার করেছে। অথচ নানা অজুহাতে এই শিল্পে বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বহুদিন ধরে। সরকারের আইন মেনেই এই শিল্প হংকং কনভেনশনের (জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে পরিবেশসম্মত ও নিরাপদ বজায় রাখার আন্তর্জাতিক আইন) আলোকে গ্রীন শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।ইতোমধ্যে সাতটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড গ্রীণ ইয়ার্ড হিসেবে সনদ লাভ করেছে। আরো ১০টি ইয়ার্ড গ্রীন সনদ পেতে প্রস্তুত। বাকীগুলোও শ্রীন ইয়ার্ড হিসেবে সনদ লাজের কাজ চলছে ।

বক্তারা আরো বলেন, এই শিল্প গত এক যুগের অধিক সময় ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিরাপদ ও পরিবেশ সম্মতভাবে এই শিল্পের উন্নয়নের কাজ করেছে। সরকার ২০১৬ সালে হংকং কনভেনশন রেটিফাইও করেছে। এই শিল্পকে শ্রীন শিপ রিসাইক্লিং হিসেবে উন্নয়নের জন্য মালিকদের খরচ হয়ে গেছে হাজার কোটি টাকার বেশী। আর এখন যদি বলা হয় এই শিল্প পরিবেশগত মান মোটেও উন্নতি হচ্ছে না তাহলে সেটি হবে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র। শুধু শ্রমিক নয়, এই শিল্পের বেকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ নানা বাবসার সাথে জড়িত আছে হাজার হাজার ব্যবসায়ী, নির্ভরশীল তাদের পরিবার এবং তাদের কর্মচারীবৃন্দ। সীতাকুন্ডের প্রত্যেকটা মধাম ও নিম্ন আয়ের পরিবার এই শিল্পের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। সীতাকুন্ড এর মানুষের জনা এটি আশীর্বাদ। জাহাজ ভাংগা শিল্প হতে পাওয়া যায় উন্নত মানের লোহাসহ শতাধিক রকম পণ্য। যেগুলো প্রাণ সঞ্চার করছে দেশের ইস্পাত শিয় থেকে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ব্যাংকিং, বা রপ্তানি বাণিজ্যের মতো অন্তত ৮টি খাতে। এই শিল্পকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে ১ লাখ কোটি টাকার অর্থনীতি। অন্ধকার অধ্যায় আর হতাশার গল্প ছাপিয়ে এই খাত এখন বলছে সম্ভাবনা আর রূপান্তরের গল্প। আর এমন সময়ে পরিবেশ প্রতিবেশ এর সোহায় দিয়ে এই শিল্পকে বন্ধ করতে যে কোন ষড়যন্ত্র সীতাকুন্ড এর মানুষ জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের আহ্বায়ক ও পুরাতন জাহাজের ফার্নিচার সমিতির সভাপতি জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিষদের সমস্যা-সচিব ও শিপ ব্রেকিং শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মম্মদ জাবেদ, পরিষদের সদস্য মোঃ নবী, মোঃ খালেদ মঞ্জু, শেখ সাহাব জমিন, মোঃ নছিম, মোঃ ছালামাত আলী, মোঃ মইন উদ্দিন, মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ শাহ জামান, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ আলমগীর, মোঃ পাঠকুল আলম, মোঃ নাজিম উদৌলা, মোঃ মোজাহের আলম, মোঃ নজির আহম্মদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ হামিদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ রবিউল এক (শ্রমিক নেতা), মোঃ তসলিম, মোঃ রানা, মোঃ মহিউদ্দিন, রজন বাবু।

এছাড়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলো সীতাকুন্ড পাইপ বাবসায়ী কল্যান সমিতি, পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক সমিতি, সীতাকুণ্ড পুরাতন জাহাজের ইলেকট্রিক ক্যাবল সমিতি, ভাটিয়ারী নব জাগরন মেটাল, শীতলপুর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, শাপলা বাবসায়ী সমবায় সমিতি, রশি দোকান মালিক সমিতি, শীতলপুর ইউনিটি সংসদ, জেনারেল ষ্টোর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, সীতাকুন্ড শীপ ব্রেকিং ওয়েল বাবসায়ী সমবায় সমিতি, কোল্ড ষ্টোর, কিচেন রুম সমিতি, পুরাতন জাহাজের ফার্নিচার সমিতি, পুরাতন জাহাজের হার্ডওয়্যার মালিক সমিতি, দোকানদারী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন জাহাজ ভাঙ্গা কারখানা হতে আগত হাজারো শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।

সাশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মচারীরা দাবী জানান, আমরা আহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশী যে কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অবসান চাই। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প রক্ষার জন্য সকল অন্তরায়/সমস্যাবলী নিরসন সহ সরকার তথা-বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারণ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বাঁচলে এ শিল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হাজার হাজার শ্রমিক বাঁচবে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে বলে জানান তারা ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন