চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনকারীদের হাতে খুন হওয়া জেলে রাম দাসের গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা ও তার সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াত।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানায়াতের একটি প্রতিনিধি দল রাম দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে সেখানে এ ঘোষণা দেন জামায়াতের সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবু তাহের, উপজেলার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলীসহ থানা ও ইউনিয়ন জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
এসময় রাম দাসের পরিবারকে শান্তনা দেন জামায়াত নেতারা। ছবিতে দেখা যায়, রাম দাসের মেয়ে বাবার ছবি বসে আছেন। তার বাবা আর কোনদিন ফিরবে না তা হয়তো সে জানে না। বাবার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন ছোট্ট অবুঝ মেয়েটি। তাকে ঘিরে আদর করছেন জামায়াতের দায়িত্বশীলরা।
এসময় আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী বলেন, যারা রাম দাসকে হত্যা করেছে এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বালু উত্তোলন করে সীতাকুণ্ডের উপকূলকেও তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এতে পরিবেশ ও প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য, কৃষি জমি সবকিছু বিপন্ন হচ্ছে। ধ্বসে পড়ছে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত বেড়িবাঁধ। অনেক স্থানে ব্লক পানিতে ভেসে গেছে। তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তারা অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। আবার মানুষকেও হত্যা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এসময় উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নিহত রাম দাসের সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। একইসাথে তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করব আমরা। এছাড়াও হত্যার বিচার পেতে তার পরিবারকে সকল প্রকার আইনী সহযোগিতা জামায়াত করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সাগরে বালু উত্তোলনকারীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় রাম দাস ও তার ভাইয়ের। একপর্যায়ে তাদেরকে ড্রেজারে তুলে রাম দাসকে পিটিয়ে পানিতে ফেলে দেয় বালু খেকোরা। আর ভাইকে অপহরণ করে হাতিয়া দ্বীপে নিয়ে যায়। অপহৃত জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেজ ২১ ফেব্রুয়ারি রাম দাসের লাশ ভেসে ওঠে সাগরে ।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;