ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে বাস ও মাইক্রোবাসের যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা সুলতানা মন্দির এলাকায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা দুই মাইক্রোবাস যাত্রীরা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছেন। আর তাদেরকে বাধা দেবার চেষ্টা করছেন বাসে থাকা যাত্রীরা। কিন্তু ভাঙচুরকারীরা কারো কোন কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। তারা নির্বিচারে বাস ভাঙচুর করতে থাকায় একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্যামলীর যাত্রীরা মাইক্রোবাস দুটিতে পাল্টা হামলা চালান। আবার ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক হয়ে নির্বাক দাড়িয়ে থাকেন অনেক যাত্রী ও পথচারী।
শ্যামলী বাসের সুপারভাইজার রহুল আমিন বলেন, তাদের বাসটি দ্রুতগতিতে যাবার সময় মাইক্রোবাসটি সাইড দিচ্ছিল না। কিন্তু বাস চালক মাইক্রোবাসটি অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। এতে মাইক্রোবাসের চালকরা বাস চালকের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু করে। এক পর্যায়ে বাসটি তাদেরকে অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে থাকে। প্রায় ৫ কি.মি. পথ এগিয়ে যাবার পর মাইক্রোবাস শ্যামলীকে অতিক্রম করে গতিরোধ করে সামনে এসে দাঁড়ায়। এসময় দুটি মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে ১৫-২০ জন তরুণ এগিয়ে এসে শ্যামলীর জানালার কাঁচ ভাঙচুর শুরু করে। এসময় ভয় পেয়ে ভেতরে থাকা যাত্রীরা বারবার হাত জোড় করে। তিনি জানা্ন, বাসে নারী-শিশু আছে। তারা কাঁদছে, ভাঙচুর বন্ধ করুন। কিন্তু তারা কারো কথা শুনছিল না। এক পর্যায়ে কিছু যাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তারা অন্য যাত্রীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
মাইক্রোবাসের যাত্রী মহিন বলেন, শ্যামলী গাড়িটি তাদের মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করার সময় চাপ দিয়েছিল। এতে তারা দুর্ঘটনার মুখে পড়তে যাচ্ছিলেন। এতে প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল। এ কারণেই তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু শ্যামলী গাড়িটি দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল। এতেই এসব ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল বাতেন বলেন, দুই গাড়ির যাত্রীরা তর্ক বিতর্ক করে পাল্টাপাল্টি গাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা, উভয় গাড়ি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, পরস্পরকে ওভারটেক করাকে কেন্দ্র করে উভয় গাড়ির যাত্রীরা পাল্টাপাল্টি ভাঙচুর করেছে। গাড়ি দুটি তাদের জিম্মায় থাকবে। তারা নিজেরা যদি আপোষ করতে পারে তাহলে গাড়ি ছেড়ে দেবেন। না হয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;