অবশেষে বিদায় নিলেন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী নেতাকে অতিথি করে মঞ্চে বসানো সেই ইউএনও কে. এম রফিকুল ইসলাম।
ফ্যাসিবাদ আমলে যোগদানের দীর্ঘ দেড় বছর পর তিনি সীতাকুণ্ড ছাড়লেন। এর আগে গত ২৮ নবেম্বর তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ না করলে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বা স্ট্যান্ড রিলিজ হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এরপরও অদৃশ্য কারণে দুই মাসের অধিক সময় সীতাকুণ্ড উপজেলায় কর্মরত ছিলেন রফিকুল ইসলাম। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন।
একই দিন নতুন ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছেন ফখরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৮ ডিসেম্বর তারিখে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সীতাকুণ্ডে বদলি করা হয়। সে প্রজ্ঞাপন জারির ৪০ দিন পর আজ রফিকুল ইসলাম বিদায় নিলে তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি ও ১৯৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরীকে অতিথি করে মঞ্চে বসানো হয়। এ খবর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সীতাকুণ্ড জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। সীতাকুণ্ডে বিএনপি জামায়াতের এত নেতৃবৃন্দ থাকতে কেন ফখরুদ্দিনকে মঞ্চে তোলা হল এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে দল দুইটির নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে তিনি জাতীয় অনুষ্ঠান সমূহে আওয়ামী নেতাদেরকে এনে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেন। আওয়ামী লীগ নেতা মসিউদ্দৌলা এবং বিনা ভোটের সাবেক এমপি দিদারুল আলমের আস্থাভাজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর আক্তার বিউটির স্বামী মো. মুসাকে দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করেও বিতর্কে জড়ান এই ইউএনও। রোববার তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে সীতাকুণ্ডবাসী স্বস্তির নিশ্বাস নিল ।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;