Dhaka ০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মবিরতি প্রত্যাহার ,চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল শুরু

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দুই জোড়া নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সূচি বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রতিটি ট্রেনই স্টেশন ছাড়ছে নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর।

সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ছাড়ে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে আরেকটি শাটল। পূর্ব রেলের ডিটিও আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সব আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দিনের শিডিউল অনুযায়ী সকল ট্রেন একে একে ছেড়ে যাবে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রথম ট্রেন ছাড়ে চাঁদপুর থেকে। চট্টগ্রামমুখী মেঘনা এক্সপ্রেস ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকামুখী আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস, ৮টা ৪০ মিনিটে সিলেটমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়েছে। সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ঢাকামুখী অপর আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে।

এদিকে, ট্রেনের সূচি বিপর্যয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় জরুরি কাজ আছে। আদৌ যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মধ্যরাতের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের খবর শুনেছেন। এরপর ভোরে তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি নিয়ে স্টেশনে চলে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, ট্রেন ঠিক সময়ে ছাড়ছে না।

অন্যদিকে, সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রী অনেক কম দেখা গেছে। স্টেশনের কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেরই ধারণা ছিল ট্রেন চলবে না। মধ্যরাতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টি অনেকে তাৎক্ষণিক জানতে পারেননি। ফলে যাত্রার প্রস্তুতিও নেননি তারা। এ কারণে যাত্রীর চাপ নেই।

চট্টগ্রাম স্টেশন ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি তারা জানতে পারেন। তবে লোকোমাস্টাররা (চালক) এসেছেন সকাল ছয়টার পর। তাই ট্রেনের সার্বিক প্রস্তুতি যথাসময়ে নেওয়া যায়নি। এজন্য সকালে সূচি মেনে ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি।

তবে বিকেলের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, আজ ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিছুটা বিলম্ব হলেও কোন ট্রেনেরই যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

তেলের ডিপোতে পড়ে সীতাকুণ্ডে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩

কর্মবিরতি প্রত্যাহার ,চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল শুরু

আপডেটের সময় : ০৭:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সূচি বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রতিটি ট্রেনই স্টেশন ছাড়ছে নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর।

সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ছাড়ে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে আরেকটি শাটল। পূর্ব রেলের ডিটিও আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সব আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দিনের শিডিউল অনুযায়ী সকল ট্রেন একে একে ছেড়ে যাবে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রথম ট্রেন ছাড়ে চাঁদপুর থেকে। চট্টগ্রামমুখী মেঘনা এক্সপ্রেস ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকামুখী আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস, ৮টা ৪০ মিনিটে সিলেটমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়েছে। সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ঢাকামুখী অপর আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে।

এদিকে, ট্রেনের সূচি বিপর্যয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় জরুরি কাজ আছে। আদৌ যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মধ্যরাতের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের খবর শুনেছেন। এরপর ভোরে তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি নিয়ে স্টেশনে চলে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, ট্রেন ঠিক সময়ে ছাড়ছে না।

অন্যদিকে, সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রী অনেক কম দেখা গেছে। স্টেশনের কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেরই ধারণা ছিল ট্রেন চলবে না। মধ্যরাতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টি অনেকে তাৎক্ষণিক জানতে পারেননি। ফলে যাত্রার প্রস্তুতিও নেননি তারা। এ কারণে যাত্রীর চাপ নেই।

চট্টগ্রাম স্টেশন ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি তারা জানতে পারেন। তবে লোকোমাস্টাররা (চালক) এসেছেন সকাল ছয়টার পর। তাই ট্রেনের সার্বিক প্রস্তুতি যথাসময়ে নেওয়া যায়নি। এজন্য সকালে সূচি মেনে ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি।

তবে বিকেলের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, আজ ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিছুটা বিলম্ব হলেও কোন ট্রেনেরই যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন