Dhaka ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ প্রয়োজন: লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী

  • কাইয়ুম চৌধুরী।।
  • আপডেটের সময় : ০৭:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯২ টাইম ভিউ

চট্টগ্রামের কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং এর ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ । তিনি ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক পত্রে ঐতিহ্যবাহী এ ঘাটের প্রাচীনতা, পরিবেশগত গুরুত্ব এবং সামগ্রিক উন্নয়নে প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন।

লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মতে, কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটটি শুধুমাত্র একটি ভৌগোলিক স্থান নয়; এটি চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অমূল্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকে এটি সমুদ্রপথে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আধুনিক যান্ত্রিক সুবিধার অভাবে ঘাটের কার্যকারিতা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা পর্যটনশিল্প ও স্থানীয় অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কুমিরা-সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র আমাদের সংস্কৃতি নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। সরকারি সহযোগিতা এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে এখানে উন্নত নৌ-যোগাযোগ, পর্যটনের সুযোগ বৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার সংরক্ষণ করা সম্ভব।”

আসলাম চৌধুরী আরও প্রস্তাব করেন, ঐতিহাসিক এই ঘাটকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি সুসংগঠিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া উচিত। ঘাটের আশেপাশের অবহেলিত এলাকাগুলোর উন্নয়ন এবং স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই ঘাটের সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি সীতাকুণ্ডের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

পরিশেষে তিনি বলেন, “আমরা চাই ঘাটটি শুধু একটি স্থান নয়, বরং এটি যেন সীতাকুণ্ডের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে। পরিবেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখে এটি পুনরুদ্ধার করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”

কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নে লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর এ সুস্পষ্ট বার্তা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। ঐতিহ্যবাহী এই ঘাটকে আধুনিক সুবিধা এবং ঐতিহাসিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা গেলে তা চট্টগ্রামের পর্যটন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ প্রয়োজন: লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী

আপডেটের সময় : ০৭:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং এর ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ । তিনি ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক পত্রে ঐতিহ্যবাহী এ ঘাটের প্রাচীনতা, পরিবেশগত গুরুত্ব এবং সামগ্রিক উন্নয়নে প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন।

লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মতে, কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটটি শুধুমাত্র একটি ভৌগোলিক স্থান নয়; এটি চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অমূল্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকে এটি সমুদ্রপথে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আধুনিক যান্ত্রিক সুবিধার অভাবে ঘাটের কার্যকারিতা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা পর্যটনশিল্প ও স্থানীয় অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কুমিরা-সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র আমাদের সংস্কৃতি নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। সরকারি সহযোগিতা এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে এখানে উন্নত নৌ-যোগাযোগ, পর্যটনের সুযোগ বৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার সংরক্ষণ করা সম্ভব।”

আসলাম চৌধুরী আরও প্রস্তাব করেন, ঐতিহাসিক এই ঘাটকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি সুসংগঠিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া উচিত। ঘাটের আশেপাশের অবহেলিত এলাকাগুলোর উন্নয়ন এবং স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই ঘাটের সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি সীতাকুণ্ডের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

পরিশেষে তিনি বলেন, “আমরা চাই ঘাটটি শুধু একটি স্থান নয়, বরং এটি যেন সীতাকুণ্ডের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে। পরিবেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখে এটি পুনরুদ্ধার করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”

কুমিরা-সীতাকুণ্ড ঘাটের পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নে লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর এ সুস্পষ্ট বার্তা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। ঐতিহ্যবাহী এই ঘাটকে আধুনিক সুবিধা এবং ঐতিহাসিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা গেলে তা চট্টগ্রামের পর্যটন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন