Dhaka ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডের শপিং কমপ্লেক্স ‘সিকিউর সিটি’ অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ

সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসার ছাত্ররা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত নব নির্মিত অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স সিকিউর সিটি অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার ‘সিকিউর সিটির’ সামনে মাদরাসার ছাত্রদের প্রতিবাদ তুলে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। এসময় মাদরাসার সম্পত্তি তছরুপ, চুক্তি লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শ্লোগান দেয় ছাত্ররা।

ছাত্রদের মধ্যে মো: রিয়াজ বলেন, সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসা একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সময় মাদরাসার সম্পত্তি নিয়ে নয়-ছয় করে আসছে একটি চক্র। বেশিরভাগ মাদরাসার জায়গা জুড়ে সিকিউর সিটি নির্মিত হয়েছে । তবে মাদরাসা ন্যায্য হারে দোকান বুঝেয়ে পায়নি। আমাদের দাবি দ্রুত মাদরাসার প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গত ৬ জানুয়ারী সিকিউর সিটি আমাদের না জানিয়ে একটি দোকান বিক্রি করে দেয়। এর আগে ৪ জানুয়ারী মাদরাসা বর্তমান কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন মৌখিক বক্তব্যে বলেছিলেন সিকিউর সিট মাদরাসা কর্তৃপক্ষের না জানিয়ে কোন দোকান বিক্রি করতে পারবে না কিন্ত ঐ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কমপ্লেক্সের ১২৮ নম্বর দোকান বিক্রি করে দেয়। এর পর গত ১১ জানুয়ারি উভয়ের সম্মতিতে পরিমাপ করা হলে এতে আমাদের ১২শ স্কয়ারফিট জায়গা বেশি রয়েছে। তবে এই জায়গার হিস্যা আমাদের বুঝিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। সর্বশেষ মাদরাসা ও সিকিউর সিটি উভয়ের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাও উপেক্ষা করে তারা । এসব বিষয় অবগত হলে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করি ।

সিকিউর ম্যানেজমেন্ট প্রপাটিজ লি: এর ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মামুন বলেন, আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনার কথা ছিলো কিন্তু এরি মধ্যে ছাত্ররা তালা দিয়ে কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন বলেন, মাদরাসা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির আরো মালিক পক্ষ রয়েছে জায়গা রয়েছে । তাদের সাথে কথা বলে অধ্যক্ষ সহ সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

তেলের ডিপোতে পড়ে সীতাকুণ্ডে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩

সীতাকুণ্ডের শপিং কমপ্লেক্স ‘সিকিউর সিটি’ অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ

আপডেটের সময় : ১০:২৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসার ছাত্ররা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত নব নির্মিত অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স সিকিউর সিটি অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার ‘সিকিউর সিটির’ সামনে মাদরাসার ছাত্রদের প্রতিবাদ তুলে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। এসময় মাদরাসার সম্পত্তি তছরুপ, চুক্তি লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শ্লোগান দেয় ছাত্ররা।

ছাত্রদের মধ্যে মো: রিয়াজ বলেন, সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসা একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সময় মাদরাসার সম্পত্তি নিয়ে নয়-ছয় করে আসছে একটি চক্র। বেশিরভাগ মাদরাসার জায়গা জুড়ে সিকিউর সিটি নির্মিত হয়েছে । তবে মাদরাসা ন্যায্য হারে দোকান বুঝেয়ে পায়নি। আমাদের দাবি দ্রুত মাদরাসার প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গত ৬ জানুয়ারী সিকিউর সিটি আমাদের না জানিয়ে একটি দোকান বিক্রি করে দেয়। এর আগে ৪ জানুয়ারী মাদরাসা বর্তমান কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন মৌখিক বক্তব্যে বলেছিলেন সিকিউর সিট মাদরাসা কর্তৃপক্ষের না জানিয়ে কোন দোকান বিক্রি করতে পারবে না কিন্ত ঐ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কমপ্লেক্সের ১২৮ নম্বর দোকান বিক্রি করে দেয়। এর পর গত ১১ জানুয়ারি উভয়ের সম্মতিতে পরিমাপ করা হলে এতে আমাদের ১২শ স্কয়ারফিট জায়গা বেশি রয়েছে। তবে এই জায়গার হিস্যা আমাদের বুঝিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। সর্বশেষ মাদরাসা ও সিকিউর সিটি উভয়ের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাও উপেক্ষা করে তারা । এসব বিষয় অবগত হলে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করি ।

সিকিউর ম্যানেজমেন্ট প্রপাটিজ লি: এর ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মামুন বলেন, আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি শপিং কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনার কথা ছিলো কিন্তু এরি মধ্যে ছাত্ররা তালা দিয়ে কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন বলেন, মাদরাসা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির আরো মালিক পক্ষ রয়েছে জায়গা রয়েছে । তাদের সাথে কথা বলে অধ্যক্ষ সহ সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন