Dhaka ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলের সৌরভে যেন মাতোয়ারা ডিসি পার্ক !

‘ফুলের মতো আপনি ফোটাও গান’ প্রতিপাদ্যে গত ৪ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফৌজদারহাটে দক্ষিণ পার্শ্বে ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফুল উৎসব।

দুই পাশে ফুলের রাজ্য। মাঝখানে বিশালাকার পুকুর। তাতে চলছে কায়াকিং। সন্ধ্যায় চালানো হয় পানির ফোয়ারা। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনোলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, কামিনী, বেলি, চেরিসহ দেশি–বিদেশি ফুলের সুবাসে ম ম করছে চারপাশ। মাঠজুড়ে নানা নকশায় লাগানো হয়েছে ফুলগাছ। দর্শনার্থীরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করেছেন এখানে। এ যেন অন্যরকম এক পরিবেশ।

পার্কে ঘুরতে আসা সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুরো পার্কটা তার কাছে অসাধারণ লাগছে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকা থেকে বেড়াতে আসা রানা বিশ্বাস বলেন, কয়েকজন বন্ধু মিলে ডিসি পার্কে ঘুরতে এসেছেন। পার্কটি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানায়, প্রায় ১০ বছর ধরে এই এলাকাটি ছিল অবৈধ দখলদারের হাতে। দুই বছর আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন এই ১৯৪ একর খাসজমি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এখানে প্রতিষ্ঠা করে দেশি–বিদেশি ফুলের সমারোহে ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক।

ছুটিরদিন থাকায় গতকাল শুক্রবার দর্শনার্থীদের প্রচণ্ড ভিড়। পার্কের বাইরে সড়কে উভয় দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। টিকিট কাউন্টার থেকে পার্কের ভেতরে সব অংশেই ছিল ভিড়। পুকুরে কায়াকিংয়ের জন্যও ছিল উৎসুক মানুষের দীর্ঘ সারি। পার্কে খাবারের স্টল, নৌকা, চিত্রকর্মের প্রদর্শনী সবখানে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

পার্কটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, ছুটির দিনগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দর্শনার্থীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেলেও মানুষকে কিভাবে আরও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া যায়, সে বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ফুল পবিত্রতার প্রতীক, সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুল মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়, মানুষের মনে নির্মল আনন্দ নিয়ে আসে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুল উৎসব। চট্টগ্রামে ৩য় বারের মতো এ আয়োজন হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা ফুলের সমারোহে ডিসি পার্ককে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি প্রজাতি ভিন্ন রঙ, আকৃতি এবং ঘ্রাণে সমৃদ্ধ যা সহজেই দর্শকদের মনকে আলোড়িত করছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ–গাঁদা প্রভৃতি দেশি–বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির ফুলের পসরা বসেছে এ মেলায়। ফুলের সৌরভে যেন চারদিক মাতোয়ারা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

ফুলের সৌরভে যেন মাতোয়ারা ডিসি পার্ক !

আপডেটের সময় : ০৯:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

‘ফুলের মতো আপনি ফোটাও গান’ প্রতিপাদ্যে গত ৪ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফৌজদারহাটে দক্ষিণ পার্শ্বে ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফুল উৎসব।

দুই পাশে ফুলের রাজ্য। মাঝখানে বিশালাকার পুকুর। তাতে চলছে কায়াকিং। সন্ধ্যায় চালানো হয় পানির ফোয়ারা। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনোলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, কামিনী, বেলি, চেরিসহ দেশি–বিদেশি ফুলের সুবাসে ম ম করছে চারপাশ। মাঠজুড়ে নানা নকশায় লাগানো হয়েছে ফুলগাছ। দর্শনার্থীরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করেছেন এখানে। এ যেন অন্যরকম এক পরিবেশ।

পার্কে ঘুরতে আসা সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুরো পার্কটা তার কাছে অসাধারণ লাগছে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকা থেকে বেড়াতে আসা রানা বিশ্বাস বলেন, কয়েকজন বন্ধু মিলে ডিসি পার্কে ঘুরতে এসেছেন। পার্কটি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানায়, প্রায় ১০ বছর ধরে এই এলাকাটি ছিল অবৈধ দখলদারের হাতে। দুই বছর আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন এই ১৯৪ একর খাসজমি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এখানে প্রতিষ্ঠা করে দেশি–বিদেশি ফুলের সমারোহে ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক।

ছুটিরদিন থাকায় গতকাল শুক্রবার দর্শনার্থীদের প্রচণ্ড ভিড়। পার্কের বাইরে সড়কে উভয় দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। টিকিট কাউন্টার থেকে পার্কের ভেতরে সব অংশেই ছিল ভিড়। পুকুরে কায়াকিংয়ের জন্যও ছিল উৎসুক মানুষের দীর্ঘ সারি। পার্কে খাবারের স্টল, নৌকা, চিত্রকর্মের প্রদর্শনী সবখানে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

পার্কটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, ছুটির দিনগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দর্শনার্থীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেলেও মানুষকে কিভাবে আরও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া যায়, সে বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ফুল পবিত্রতার প্রতীক, সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুল মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়, মানুষের মনে নির্মল আনন্দ নিয়ে আসে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুল উৎসব। চট্টগ্রামে ৩য় বারের মতো এ আয়োজন হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা ফুলের সমারোহে ডিসি পার্ককে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি প্রজাতি ভিন্ন রঙ, আকৃতি এবং ঘ্রাণে সমৃদ্ধ যা সহজেই দর্শকদের মনকে আলোড়িত করছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ–গাঁদা প্রভৃতি দেশি–বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির ফুলের পসরা বসেছে এ মেলায়। ফুলের সৌরভে যেন চারদিক মাতোয়ারা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন