Dhaka ০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে একের পর এক ২০২৪ সালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্বে ২০২৪ সালে । বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স থেকে ছোট স্থানীয় বিমান পরিবহন—সবখানেই দেখা গেছে দুর্যোগের ছাপ। শুধু দুর্ঘটনার সংখ্যার দিক দিয়েই নয় প্রাণহানি এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও ছাড়িয়ে গেছে আগের রেকর্ড।

চলতি বছরের শুরুতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয় জাপান। গত ২ জানুয়ারি দেশটির টোকিও বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ রানওয়েতে অবতরণের সময় কোস্টগার্ডের একটি বিমানকে ধাক্কা দেয়। বিমানটিতে থাকা ৩৭৯ যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেলেও কোস্টগার্ডের ৫ জন কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। অবতরণে ভুল বোঝাবুঝি এবং যোগাযোগে ত্রুটি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল বলে উঠে আসে তদন্তে।

এর প্রায় কয়েক মাস পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ে। ২২ মে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী এই বিমানটি মাঝ আকাশে অস্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহের মুখে পড়লে ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন পাইলট। ওই ঘটনায় একজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ৭১ জন আরোহী।

হতাহতের দিক থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ আগস্ট। এদিন ব্রাজিলের ভিনহেডো শহরে ভিওপাস এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২-৫০০ বিমান আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬২ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। এর আগে বিমানের কারিগরি ত্রুটির তথ্য সামনে আসলেও তা যথাযথভাবে সমাধান না করায় এই দুর্ঘটনা বলে জানা যায়।

এছাড়া সম্প্রতি ব্রাজিলের পর্যটন শহর গ্রামাদোতে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি একটি বাড়ির চিমনিতে আঘাত কোরে পাশের দোকানের ওপর আছড়ে পড়ে। ২২ ডিসেম্বরের এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা একই পরিবারের ১০ জন প্রাণ হারায়। আহত হন ১৭ জন পথচারী।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এমব্রেয়ার ১৯০ বিমান কাজাখস্তানের আকতাউতে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় গত ২৫ ডিসেম্বর। এতে ৩৮ জন নিহত হন। শুরুতে পাখির সঙ্গে ইঞ্জিনের সংঘর্ষের কথা বলা হলেও পরে কর্তৃপক্ষ দাবি করে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়।

সবশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটে গেল বছরের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারলাইন্সের বিমান ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে চাকা ছাড়াই জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ের দেয়ালে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এতে বিমানটিতে থাকা ১৮১ জন যাত্রীর ১৭৯ জনই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মাত্র দুজন ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

বিশ্বে একের পর এক ২০২৪ সালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

আপডেটের সময় : ০৫:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্বে ২০২৪ সালে । বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স থেকে ছোট স্থানীয় বিমান পরিবহন—সবখানেই দেখা গেছে দুর্যোগের ছাপ। শুধু দুর্ঘটনার সংখ্যার দিক দিয়েই নয় প্রাণহানি এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও ছাড়িয়ে গেছে আগের রেকর্ড।

চলতি বছরের শুরুতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয় জাপান। গত ২ জানুয়ারি দেশটির টোকিও বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ রানওয়েতে অবতরণের সময় কোস্টগার্ডের একটি বিমানকে ধাক্কা দেয়। বিমানটিতে থাকা ৩৭৯ যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেলেও কোস্টগার্ডের ৫ জন কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। অবতরণে ভুল বোঝাবুঝি এবং যোগাযোগে ত্রুটি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল বলে উঠে আসে তদন্তে।

এর প্রায় কয়েক মাস পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ে। ২২ মে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী এই বিমানটি মাঝ আকাশে অস্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহের মুখে পড়লে ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন পাইলট। ওই ঘটনায় একজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ৭১ জন আরোহী।

হতাহতের দিক থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ আগস্ট। এদিন ব্রাজিলের ভিনহেডো শহরে ভিওপাস এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২-৫০০ বিমান আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬২ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। এর আগে বিমানের কারিগরি ত্রুটির তথ্য সামনে আসলেও তা যথাযথভাবে সমাধান না করায় এই দুর্ঘটনা বলে জানা যায়।

এছাড়া সম্প্রতি ব্রাজিলের পর্যটন শহর গ্রামাদোতে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি একটি বাড়ির চিমনিতে আঘাত কোরে পাশের দোকানের ওপর আছড়ে পড়ে। ২২ ডিসেম্বরের এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা একই পরিবারের ১০ জন প্রাণ হারায়। আহত হন ১৭ জন পথচারী।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এমব্রেয়ার ১৯০ বিমান কাজাখস্তানের আকতাউতে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় গত ২৫ ডিসেম্বর। এতে ৩৮ জন নিহত হন। শুরুতে পাখির সঙ্গে ইঞ্জিনের সংঘর্ষের কথা বলা হলেও পরে কর্তৃপক্ষ দাবি করে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়।

সবশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটে গেল বছরের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারলাইন্সের বিমান ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে চাকা ছাড়াই জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ের দেয়ালে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। এতে বিমানটিতে থাকা ১৮১ জন যাত্রীর ১৭৯ জনই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মাত্র দুজন ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন