Dhaka ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে ডোবায় মিলল হারানো শিশুর মরদেহ

সীতাকুণ্ড মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামে একটি পানির গর্তে পড়ে মিরাজ উদ্দিন (০৪) নামক এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর ) বিকেল ৩ টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হলে স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরে সন্ধার সময় এলাকাবাসী বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে স্কেভেটর দিয়ে করা একটি বড় গর্তে তার ছোট সেন্ডেল দেখতে পান। সেখানে জাল মেরে ও গর্তে নেমে খোঁজ করেও সন্ধান মিলেনি শিশু মিরাজকে।

এক পর্যায়ে এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে গর্তের চার কোনায় ৪ জন ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে একযোগে আজান দিতে শুরু করেন। এরপর আজান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ মিরাজের মৃতদেহ ভেসে উঠে ডোবা আকারের ঐ গর্ত থেকে। পরে মিরাজের লাশ উদ্ধার করে তার মাকে বুঝিয়ে দেন স্থানীয়রা।

মিরাজের বড় দুইটি বোন রয়েছে। বড় বোন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও মেজ বোন ৪র্থ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তাদের মধ্যে মিরাজ ছিল সবার ছোট একমাত্র ভাই।

তার পিতা আলাউদ্দীন (৪৩) গত ১ বছর আগে ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর মিরাজের মাতা অভাব অনটনে পড়েন।

এদিকে মিরাজ নিহতের ঘটনায় গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন মিরাজের মা পাগল প্রায়।

এ বিষয়ে মিরাজের চাচা মোঃ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গত এক বছর আগে আমার ভাই ফুসফুসে ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার এক বছর পর তাঁর ছোট ছেলে আমার ভাতিজা শিশু মিরাজও ডোবা পরিমাণ একটি বড় গর্তে ডুবে না ফেরার দেশে চলে গেল। এটি অনেক মর্মান্তিক ও কষ্টের। ছেলেকে হারিয়ে মিরাজের মা এখন পাগল প্রায়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

তেলের ডিপোতে পড়ে সীতাকুণ্ডে একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩

সীতাকুণ্ডে ডোবায় মিলল হারানো শিশুর মরদেহ

আপডেটের সময় : ০৪:০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সীতাকুণ্ড মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামে একটি পানির গর্তে পড়ে মিরাজ উদ্দিন (০৪) নামক এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর ) বিকেল ৩ টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হলে স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরে সন্ধার সময় এলাকাবাসী বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে স্কেভেটর দিয়ে করা একটি বড় গর্তে তার ছোট সেন্ডেল দেখতে পান। সেখানে জাল মেরে ও গর্তে নেমে খোঁজ করেও সন্ধান মিলেনি শিশু মিরাজকে।

এক পর্যায়ে এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে গর্তের চার কোনায় ৪ জন ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে একযোগে আজান দিতে শুরু করেন। এরপর আজান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ মিরাজের মৃতদেহ ভেসে উঠে ডোবা আকারের ঐ গর্ত থেকে। পরে মিরাজের লাশ উদ্ধার করে তার মাকে বুঝিয়ে দেন স্থানীয়রা।

মিরাজের বড় দুইটি বোন রয়েছে। বড় বোন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও মেজ বোন ৪র্থ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তাদের মধ্যে মিরাজ ছিল সবার ছোট একমাত্র ভাই।

তার পিতা আলাউদ্দীন (৪৩) গত ১ বছর আগে ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর মিরাজের মাতা অভাব অনটনে পড়েন।

এদিকে মিরাজ নিহতের ঘটনায় গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন মিরাজের মা পাগল প্রায়।

এ বিষয়ে মিরাজের চাচা মোঃ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গত এক বছর আগে আমার ভাই ফুসফুসে ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার এক বছর পর তাঁর ছোট ছেলে আমার ভাতিজা শিশু মিরাজও ডোবা পরিমাণ একটি বড় গর্তে ডুবে না ফেরার দেশে চলে গেল। এটি অনেক মর্মান্তিক ও কষ্টের। ছেলেকে হারিয়ে মিরাজের মা এখন পাগল প্রায়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন