Dhaka ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায়

পরকালের জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে। এখানে যারা আমল করবে তাদের জন্য পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে জান্নাত ও আমল না করলে জাহান্নাম। কিন্তু মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপাচার দ্বারা নিজের শুভ্র-সফেদ জীবনটাকে কয়লার মতো কালো বানিয়ে ফেলেছে।

পাপের পথে দিবানিশি চলতে চলতে প্রতিনিয়ত জাহান্নামের নিকটবর্তী হয়ে চলেছে। শ্রেষ্ঠ জীব থেকে অতি নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়ে যায় পাপের কালিমা মেখে। এতদসত্ত্বেও মহান আল্লাহ মানুষকে সুযোগ দেন কয়লা ধুয়ে পরিষ্কার করার, জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় করে নেওয়ার। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মাধ্যমে শিখিয়েছেন এমন কিছু আমল, যা মানুষকে খুব সহজে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে। জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারে।

দৈনন্দিন তাসবি পাঠ
দৈনিক ৩৬০ বার তাসবি-তাহলিল, তাকবির আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক আদম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থির ওপর সৃষ্টি করেছেন আর প্রতিটি গ্রন্থির কিছু সদকা রয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই সংখ্যা পরিমাণ ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষের চলার পথ থেকে পাথর, কাঁটা অথবা একটি হাড় সরাল, ভালো কাজের আদেশ করল, কিংবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল (এবং সব মিলে ৩৬০ সখ্যক পুণ্যময় কাজ করল), সে ওই দিন এমতাবস্থায় সন্ধ্যা যাপন করল যে সে নিজেকে জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে নিল।’ (মুসলিম : ২২২০)

প্রথম তাকবিরে নামাজ
চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে সালাত আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে দুটি তালিকা থেকে মুক্তি দেবেন- ১. জাহান্নামিদের তালিকা থেকে মুক্তি ২. মুনাফিকদের তালিকা থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি : ২৪১)

বেশি বেশি দান-সদকা
দান-সদকা বিপদ-মুসিবত দূর করে। আল্লাহর অসন্তুষ্টি দূর করে। জাহান্নামের আগুন দূর করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও দান-সদকা করা উচিত। আদি ইবনে হাতেম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা জাহান্নাম হতে বাঁচো; যদিও এক টুকরো খেজুর সদকা করে হয়।’ (বুখারি : ১৪১৭)

জাহান্নাম মুক্তির দোয়া
জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য ইবাদত-আমলের পাশাপাশি দোয়া করা চাই। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহর কাছে জাহান্নাম হতে মুক্তি চায়, জাহান্নাম তখন আল্লাহ তায়ালার কাছে বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন (তিরমিজি : ২৫৭২)

জোহর-আসরের আগে নফল
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের আগে-পরে কিছু সুন্নত নামাজ রয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে নামাজগুলো আদায় করলে পরকালের শাস্তি থেকে বাঁচা সহজ হবে ইনশাল্লাহ। জোহরের ফরজ নামাজের পূর্বে চার এবং পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করলে এ সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জোহরের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত সালাত পড়বে, মহান আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজা : ১১৬০)

মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার
পৃথিবীর সব মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সদাচারী হবে, আল্লাহ তার প্রতি খুশি হবেন। তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম? যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়) সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী। (তিরমিজি : ২৪৮৮)

চোখের হেফাজত
মানুষের পাপের বড় একটি উৎস চোখ। যে ব্যক্তি চোখের হেফাজত করল সে যেন পাপের একটি উৎস বন্ধ করল। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না- ১. আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যে চোখ ক্রন্দন করে। ২. আল্লাহর রাস্তায় যে চোখ পাহারা দিয়ে রাত পার করে। (তিরমিজি : ১৬৩৯)

বেশি বেশি নফল রোজা
রোজা সারা বছরই রাখা যায়। রোজা এমন একটি আমল, যা মানুষকে দেখানোর চেয়ে আল্লাহকে দেখানোর কাজ বেশি। আল্লাহর ভয়ে কৃত এমন আমল জাহান্নামের ঢাল হিসেবে বিবেচিত। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘রোজা (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য) ঢালস্বরূপ’ (বুখারি : ১৮৯৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা ওই একদিনের বিনিময়ে তার থেকে জাহান্নামকে ৭০ বছর (পরিমাণ পথ ) দূরে রাখবেন। (বুখারি : ২৮৪০)

কন্যাসন্তান লালন-পালন
কন্যাসন্তান মা-বাবার জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। তারা পৃথিবীর বরকত ও আখেরাতের সম্পদ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ভিখারিনী দুটি কন্যা সঙ্গে করে আমার কাছে এসে কিছু ভিক্ষা চাইল। আমার কাছে একটি খেজুর ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমি তাকে তা দিয়ে দিলাম। খেজুরটি সে দুই ভাগ করে কন্যা দুটিকে দিয়ে দিল। তা থেকে সে নিজে কিছুই খেল না। এরপর সে ওঠে বের হয়ে গেল। তারপর নবীজি (সা.) আমাদের কাছে এলে তাঁর কাছে ওই ঘটনা শোনালাম। ঘটনা শুনে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি একাধিক কন্যা নিয়ে সংকটাপন্ন হবে এবং সে তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, সে কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নামের আগুন হতে অন্তরাল (পর্দা) হবে। (বুখারি : ১৪১৮)

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইশরাককে শপথ পড়ানো যাবে না: রিটকারীর আইনজীবী

জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায়

আপডেটের সময় : ০৩:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পরকালের জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে। এখানে যারা আমল করবে তাদের জন্য পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে জান্নাত ও আমল না করলে জাহান্নাম। কিন্তু মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপাচার দ্বারা নিজের শুভ্র-সফেদ জীবনটাকে কয়লার মতো কালো বানিয়ে ফেলেছে।

পাপের পথে দিবানিশি চলতে চলতে প্রতিনিয়ত জাহান্নামের নিকটবর্তী হয়ে চলেছে। শ্রেষ্ঠ জীব থেকে অতি নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়ে যায় পাপের কালিমা মেখে। এতদসত্ত্বেও মহান আল্লাহ মানুষকে সুযোগ দেন কয়লা ধুয়ে পরিষ্কার করার, জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় করে নেওয়ার। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মাধ্যমে শিখিয়েছেন এমন কিছু আমল, যা মানুষকে খুব সহজে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে। জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারে।

দৈনন্দিন তাসবি পাঠ
দৈনিক ৩৬০ বার তাসবি-তাহলিল, তাকবির আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক আদম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থির ওপর সৃষ্টি করেছেন আর প্রতিটি গ্রন্থির কিছু সদকা রয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই সংখ্যা পরিমাণ ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষের চলার পথ থেকে পাথর, কাঁটা অথবা একটি হাড় সরাল, ভালো কাজের আদেশ করল, কিংবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল (এবং সব মিলে ৩৬০ সখ্যক পুণ্যময় কাজ করল), সে ওই দিন এমতাবস্থায় সন্ধ্যা যাপন করল যে সে নিজেকে জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে নিল।’ (মুসলিম : ২২২০)

প্রথম তাকবিরে নামাজ
চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে সালাত আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে দুটি তালিকা থেকে মুক্তি দেবেন- ১. জাহান্নামিদের তালিকা থেকে মুক্তি ২. মুনাফিকদের তালিকা থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি : ২৪১)

বেশি বেশি দান-সদকা
দান-সদকা বিপদ-মুসিবত দূর করে। আল্লাহর অসন্তুষ্টি দূর করে। জাহান্নামের আগুন দূর করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও দান-সদকা করা উচিত। আদি ইবনে হাতেম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা জাহান্নাম হতে বাঁচো; যদিও এক টুকরো খেজুর সদকা করে হয়।’ (বুখারি : ১৪১৭)

জাহান্নাম মুক্তির দোয়া
জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য ইবাদত-আমলের পাশাপাশি দোয়া করা চাই। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহর কাছে জাহান্নাম হতে মুক্তি চায়, জাহান্নাম তখন আল্লাহ তায়ালার কাছে বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন (তিরমিজি : ২৫৭২)

জোহর-আসরের আগে নফল
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের আগে-পরে কিছু সুন্নত নামাজ রয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে নামাজগুলো আদায় করলে পরকালের শাস্তি থেকে বাঁচা সহজ হবে ইনশাল্লাহ। জোহরের ফরজ নামাজের পূর্বে চার এবং পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করলে এ সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জোহরের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত সালাত পড়বে, মহান আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজা : ১১৬০)

মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার
পৃথিবীর সব মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সদাচারী হবে, আল্লাহ তার প্রতি খুশি হবেন। তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম? যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়) সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী। (তিরমিজি : ২৪৮৮)

চোখের হেফাজত
মানুষের পাপের বড় একটি উৎস চোখ। যে ব্যক্তি চোখের হেফাজত করল সে যেন পাপের একটি উৎস বন্ধ করল। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না- ১. আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যে চোখ ক্রন্দন করে। ২. আল্লাহর রাস্তায় যে চোখ পাহারা দিয়ে রাত পার করে। (তিরমিজি : ১৬৩৯)

বেশি বেশি নফল রোজা
রোজা সারা বছরই রাখা যায়। রোজা এমন একটি আমল, যা মানুষকে দেখানোর চেয়ে আল্লাহকে দেখানোর কাজ বেশি। আল্লাহর ভয়ে কৃত এমন আমল জাহান্নামের ঢাল হিসেবে বিবেচিত। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘রোজা (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য) ঢালস্বরূপ’ (বুখারি : ১৮৯৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা ওই একদিনের বিনিময়ে তার থেকে জাহান্নামকে ৭০ বছর (পরিমাণ পথ ) দূরে রাখবেন। (বুখারি : ২৮৪০)

কন্যাসন্তান লালন-পালন
কন্যাসন্তান মা-বাবার জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। তারা পৃথিবীর বরকত ও আখেরাতের সম্পদ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ভিখারিনী দুটি কন্যা সঙ্গে করে আমার কাছে এসে কিছু ভিক্ষা চাইল। আমার কাছে একটি খেজুর ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমি তাকে তা দিয়ে দিলাম। খেজুরটি সে দুই ভাগ করে কন্যা দুটিকে দিয়ে দিল। তা থেকে সে নিজে কিছুই খেল না। এরপর সে ওঠে বের হয়ে গেল। তারপর নবীজি (সা.) আমাদের কাছে এলে তাঁর কাছে ওই ঘটনা শোনালাম। ঘটনা শুনে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি একাধিক কন্যা নিয়ে সংকটাপন্ন হবে এবং সে তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, সে কন্যাসন্তান তার জন্য জাহান্নামের আগুন হতে অন্তরাল (পর্দা) হবে। (বুখারি : ১৪১৮)

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন