অর্ধগলিত অবস্থায় একটি ইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। অন্যদিকে মৃত্যুর কারণ জানতে কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ডলফিনটি উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে ।
সীতাকুণ্ড উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রনি আলি বলেন, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে একটি মৃত ডলফিন পড়ে থাকতে দেখে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বন বিভাগকে স্থানীয়রা খবর দেয়। সন্ধ্যার দিকে আমরা গিয়ে দেখতে পাই প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিনটির শরীরে পঁচন ধরেছে এবং গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। তিনি বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ডলফিনটিকে সৈকতের পাশে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভেসে আসা ডলফিনটি বিপন্ন প্রজাতির ইরাবতী ডলফিন। এটির কপাল ফুলে ওঠে, ঠোঁট ছোট । লম্বায় প্রায় ছয় ফুটের মতো। পাখনা ছোট ও বৃত্তাকার আকৃতির। লেজ বড় এবং প্রশস্ত। এ প্রজাতির ডলফিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উপকূলের নিকটে ও নদী মোহনাতে এবং নদীতে এদের বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখা যায়।ইরাবতী ডলফিন লবণাক্ত বা অল্প লবণাক্ত পানির নদী আর সমুদ্র উপকূলে থাকে তাই মিঠা পানির নদীতে আসে না ।
উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রনি আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ইরাবতী ডলফিনটি গুলিয়াখালী সৈকতে ভেসে আসার খবরে তাঁরা গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সন্ধ্যায় সেটিকে সৈকতে মাটি চাপা দেন। এ সময় ডলফিনটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা (হাড় ও মাংস) সংগ্রহ করা হয়। মূলত ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্লোল বড়ুয়া বলেন, ডলফিনটি বয়সের কারণে বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যেতে পারে। এটি যদিও ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, ডলফিনটি বয়স্ক এবং আঘাতপ্রাপ্ত ।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 














