

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্য ঘটনায় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে বেধড়ক মারা হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের পরিসংখ্যান দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। কিন্তু সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হয় না। ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকি, মামলা-মোকদ্দমা, মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনে জখম থেকে শুরু করে গুম কিংবা খুন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে এ বিভাগীয় শহর কিংবা মফস্বল সর্বত্রই চলছে এই নির্যাতন। স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা বা সদস্য সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে তুলে নিয়ে নির্যাতন থেকে শুরু করে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে মারধরের শিকার হচ্ছেন, নির্যাতিত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। কিন্তু দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা আর নির্যাতন-নিপীড়নের বিচার নেই। হত্যা ও নির্যাতনের অগুনতি মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে, বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই। বিচার না করায় দেশে এখন সাংবাদিক নির্যাতন নিত্যকার বিষয় হয়ে উঠেছে। যে কোনো স্থানীয় বা জাতীয় দুর্যোগে সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কাজ করা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের জন্য কোনো ধরনের ঝুঁকিভাতা পর্যন্ত নেই। কিন্তু পেশাগত দায়িত্বপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের সাঃ সম্পাদক আবদুল্লা আল কাইয়ুম চৌধুরী, জাতীয় অর্থনীতি প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের সহ- সভাপতি খায়রুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশন প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হোসেন পলাশ, এনটিভি অনলাইন প্রতিনিধি এন এইচ শাওন,দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশিদ মাহিন, জনবানী সাংবাদিক ও সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশন প্রতিনিধি রেওয়াজ উদ্দিন মাসুম, বাংলা টিভি প্রতিনিধি নওশিন আল মাহমুদ, সিএনটিভি প্রতিনিধি রিফাত চৌধুরী সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।