Dhaka ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ থাকা প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা আগামীকাল খুলছে!

কারখানায় হামলা ও কর্মপরিবেশ না থাকায়’ গত বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশে পোশাক রপ্তানি খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা। বন্ধ থাকা এসব কারখানা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় খুলছে। প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বন্ধ সাত থাকা কারখানা হলো প্যাসিফিক জিনস, জিনস ২০০০, ইউনিভার্সেল জিনস, এনএইচটি ফ্যাশন, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যার ও প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স। এর মধ্যে প্যাসিফিক জিনসের কারখানা দুটি ও ইউনিভার্সেল জিনসের ইউনিট চারটি।

কারখানা খোলার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে কারখানা পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সবাইকে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে কর্মস্থলে শৃঙ্খলা, পেশাদারত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান করা হলো।’

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ‘সংঘর্ষে দুই শ্রমিক নিহত’ দাবি করে একটি ভিডিও শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি দেখার পর কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। এরপর গত শনিবার বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

প্যাসিফিক গ্রুপের অন্তত সাতজন শ্রমিক ও আশপাশের কয়েক কারখানার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝুট (অবশিষ্ট কাপড়) ব্যবসা নিয়ে ইপিজেড এলাকায় কয়েকটি পক্ষ সক্রিয়। আগে প্যাসিফিকের ঝুট বাইরে বিক্রি হতো, এখন প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব রিসাইক্লিং ইউনিটে তা ব্যবহার করা হয়। ঝুট ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে একটি মহল শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে।

শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘর্ষের দিন সেখানে বহিরাগত কয়েকজন প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে সংস্কারকাজের জন্য সিইপিজেডের মূল গেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে বহিরাগতরাও ভেতরে প্রবেশ করেছেন।

শ্রমিকদের দাবি, বহিরাগতরা তাঁদের মারধর করেছেন। অন্যদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বহিরাগতরা শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে কারখানায় হামলা করতে বাধ্য করেছেন।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে কিছু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আছে। শ্রমিক নিহত হয়েছে দাবি করা ভিডিওটি ভুয়া। এটি পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। কারা এটি করেছে, তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বাইরের কোনো ইন্ধন আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় পোস্ট

বন্ধ থাকা প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা আগামীকাল খুলছে!

বন্ধ থাকা প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা আগামীকাল খুলছে!

আপডেটের সময় : ০৬:০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

কারখানায় হামলা ও কর্মপরিবেশ না থাকায়’ গত বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশে পোশাক রপ্তানি খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা। বন্ধ থাকা এসব কারখানা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় খুলছে। প্যাসিফিক জিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বন্ধ সাত থাকা কারখানা হলো প্যাসিফিক জিনস, জিনস ২০০০, ইউনিভার্সেল জিনস, এনএইচটি ফ্যাশন, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যার ও প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স। এর মধ্যে প্যাসিফিক জিনসের কারখানা দুটি ও ইউনিভার্সেল জিনসের ইউনিট চারটি।

কারখানা খোলার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে কারখানা পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সবাইকে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে কর্মস্থলে শৃঙ্খলা, পেশাদারত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান করা হলো।’

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ‘সংঘর্ষে দুই শ্রমিক নিহত’ দাবি করে একটি ভিডিও শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি দেখার পর কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। এরপর গত শনিবার বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

প্যাসিফিক গ্রুপের অন্তত সাতজন শ্রমিক ও আশপাশের কয়েক কারখানার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝুট (অবশিষ্ট কাপড়) ব্যবসা নিয়ে ইপিজেড এলাকায় কয়েকটি পক্ষ সক্রিয়। আগে প্যাসিফিকের ঝুট বাইরে বিক্রি হতো, এখন প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব রিসাইক্লিং ইউনিটে তা ব্যবহার করা হয়। ঝুট ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে একটি মহল শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে।

শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘর্ষের দিন সেখানে বহিরাগত কয়েকজন প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে সংস্কারকাজের জন্য সিইপিজেডের মূল গেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে বহিরাগতরাও ভেতরে প্রবেশ করেছেন।

শ্রমিকদের দাবি, বহিরাগতরা তাঁদের মারধর করেছেন। অন্যদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বহিরাগতরা শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে কারখানায় হামলা করতে বাধ্য করেছেন।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে কিছু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আছে। শ্রমিক নিহত হয়েছে দাবি করা ভিডিওটি ভুয়া। এটি পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। কারা এটি করেছে, তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বাইরের কোনো ইন্ধন আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন