Dhaka ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গোয়েন্দা পুলিশ'র অভিযান

‘কেএনএফ’র ইউনিফর্ম তৈরির কারখানা চট্টগ্রামে!

‘কেএনএফ’র ইউনিফর্ম তৈরির কারখানা চট্টগ্রামে!

পার্বত্য সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) জন্য তৈরি ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকার একটি কারখানা থেকে জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর একটি মামলাও হয়েছে। যদিও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।

গত ১৭ মে রাতে ওই পোশাক কারখানায় অভিযান চালায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই কারখানাটির নাম ‘রিংভো অ্যাপারেলস’। যেটি থানা এলাকার নয়াহাট এলাকায় অবস্থিত। ওইদিনই কারখানা থেকে পোশাকগুলো জব্দ করা হলেও বিষয়টি আজ রবিবার জানাজানি হয়। নগর পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন— কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার।

জানা গেছে, ১৮ মে বায়েজিদ থানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত মার্চে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার ‘কেএনএফ’ সদস্য মংহলাসিন মারমা ওরফে ‘মং’র কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ইউনিফর্ম তৈরির এই চুক্তি নেন। কেএনএফ সদস্যরাই ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় সরবরাহ করে, আর মে মাসে পোশাক হস্তান্তরের কথা ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, কারখানায় তৈরি হওয়া পোশাকগুলো কুকি-চিন বিদ্রোহীদের জন্যই বানানো হচ্ছিল। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে এই কাজ চালিয়ে আসছিল। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় গত ১৮ মে ৪ জনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত মার্চ মাসে ইউনিফর্মগুলো তৈরির কাজ দিয়েছিলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা মংহ্লাসিং মারমা প্রকাশ মং নামের একজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ইউনিফর্ম তৈরির কাজ নেন। মংহ্লাসিংকে ‘কেএনএফ’ সদস্যরা তাদের কাপড়ও দিয়ে যায়। চলতি মাসে এসব ইউনিফর্ম সরবরাহের কথা ছিল।

এ ঘটনায় কারখানাটির সাম্প্রতিক কার্যক্রম, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সীতাকুণ্ডে মারা গেলেন শিক্ষক

গোয়েন্দা পুলিশ'র অভিযান

‘কেএনএফ’র ইউনিফর্ম তৈরির কারখানা চট্টগ্রামে!

আপডেটের সময় : ০৫:২৬:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

পার্বত্য সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) জন্য তৈরি ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকার একটি কারখানা থেকে জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর একটি মামলাও হয়েছে। যদিও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।

গত ১৭ মে রাতে ওই পোশাক কারখানায় অভিযান চালায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই কারখানাটির নাম ‘রিংভো অ্যাপারেলস’। যেটি থানা এলাকার নয়াহাট এলাকায় অবস্থিত। ওইদিনই কারখানা থেকে পোশাকগুলো জব্দ করা হলেও বিষয়টি আজ রবিবার জানাজানি হয়। নগর পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন— কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার।

জানা গেছে, ১৮ মে বায়েজিদ থানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত মার্চে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার ‘কেএনএফ’ সদস্য মংহলাসিন মারমা ওরফে ‘মং’র কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ইউনিফর্ম তৈরির এই চুক্তি নেন। কেএনএফ সদস্যরাই ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় সরবরাহ করে, আর মে মাসে পোশাক হস্তান্তরের কথা ছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, কারখানায় তৈরি হওয়া পোশাকগুলো কুকি-চিন বিদ্রোহীদের জন্যই বানানো হচ্ছিল। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে এই কাজ চালিয়ে আসছিল। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় গত ১৮ মে ৪ জনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত মার্চ মাসে ইউনিফর্মগুলো তৈরির কাজ দিয়েছিলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা মংহ্লাসিং মারমা প্রকাশ মং নামের একজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ইউনিফর্ম তৈরির কাজ নেন। মংহ্লাসিংকে ‘কেএনএফ’ সদস্যরা তাদের কাপড়ও দিয়ে যায়। চলতি মাসে এসব ইউনিফর্ম সরবরাহের কথা ছিল।

এ ঘটনায় কারখানাটির সাম্প্রতিক কার্যক্রম, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন