পৃথক দুটি ঘটনায় সীতাকুণ্ডে এক গৃহবধূ ও এক দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুরভী আক্তার ইফা (১৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর নাম মো. হৃদয় হোসেন। তিনি ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। ইফা একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর পিতা আব্দুল হামিদ বলেন, ভোরে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে ঘরে ফিরে দেখতে পাই আমার মেয়ে ঘরের আঙ্গিনার একটি সিলিংয়ের কাঠের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাইছড়িতে পাহাড়ের গহীন অরণ্য থেকে আদোশে মগ (৫২) নামে এক জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ বিষয়ে নিহতের ভাই আচাই মারমা গতকাল শুক্রবার সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম ঘোড়ামারা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দীঘির পাহাড়ের উপরে একটি টং ঘর তৈরি করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন নিহত আদোশে মগ। তিনি পাহাড়ে ও অন্যের ক্ষেত খামারে কৃষি এবং দিনমজুরের কাজ করতেন। তার স্ত্রী ও সন্তানরা সকলেই খাগড়াছড়িতে থাকেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, পাহাড়ের গহীন অরণ্য থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকে হত্যা করেছে। তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;