Dhaka ১২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় সরকারি ড্রেন দখলের অভিযোগ

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় সরকারি ড্রেন দখলের অভিযোগ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাজারে সরকারি ড্রেন দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি দোকান মালিকের উপর।যা সাধারণ পথচারী চলাচলের রাস্তায় দোকানের যাবতীয় মালামাল এবং পানি চলাচলের রাস্তায় বিভিন্ন ইট, বালি দিয়ে ভরাট করে। ফলে একটুখানি বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় আশপাশের রাস্তা এবং এতে স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ এবং সাধারণ পথচারী চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। ফলে তীব্র জলাবদ্ধতায় তৈরি হয় ছোট কুমিরা বাজারের ব্যবসায়ী ও স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ যাওয়া কোমলমতি শিশু এবং পথচারীরা।

সরজমিনে দেখা যায়,স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজগ্রামী ছাত্র-ছাত্রীরা এই ময়লা,দুর্গন্ধ যুক্ত পানি দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করছে,গত কয়েকদিন আগে টানা ভারী বৃষ্টি হলে ওই পথ দিয়ে স্কুলে যাওয়া সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র মোঃ আল-আমীন ময়লা পানিতে পড়ে যায়। অপরদিকে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,সকালে সন্তানকে মাদ্রাসা নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়,ছোট বাচ্চাদের ময়লা পানি উপর দিয়ে যেতে হয় তাদের।

শুধু তাই নয়, ড্রেনেজ পানি প্রবহমান না থাকায় খরা মৌসুমে পানি নোংরা হয়ে একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অপরদিকে মশা-মাছির প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

অথচ জলাধার আইন ২০২০ এর ৫ ধারা অনুযায়ী, ‘প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা কিংবা হস্তান্তর বেআইনি।

এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ীও এটা বেআইনি।

তবে জানা যায়,৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে স্থানী বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস মিয়া মনির এই ড্রেন পরিষ্কার করেন।

এদিকে বাজার ব্যবসায়ী মীর হোসেন, মাহবুবুল আলমসহ একাধিক বাসিন্দা জানান,পূর্বে এখানে ড্রন বা পথচারী হাঁটার রাস্তা এটি। সেটাকে সংকুচিত করে সাতকানিয়া স্টোর ও কয়েকটি দোকানের বিভিন্ন মালামাল রেখে মানুষের হাঁটার অউপযোগী করে তুলে। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দোকানে পানি ওঠে। শুধু তাই নয়, শুকনো মৌসুমে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিলম্বে ড্রেন উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরকারি ড্রেন বা রাস্তা উদ্ধারে কোন পরিকল্পনা আছে কীনা জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি তদন্ত করে দেখবো।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
লেখক তথ্য সম্পর্কে

সীতাকুণ্ডে আকাশমনি কাঠ জব্দ

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় সরকারি ড্রেন দখলের অভিযোগ

আপডেটের সময় : ১০:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাজারে সরকারি ড্রেন দখলের অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি দোকান মালিকের উপর।যা সাধারণ পথচারী চলাচলের রাস্তায় দোকানের যাবতীয় মালামাল এবং পানি চলাচলের রাস্তায় বিভিন্ন ইট, বালি দিয়ে ভরাট করে। ফলে একটুখানি বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় আশপাশের রাস্তা এবং এতে স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ এবং সাধারণ পথচারী চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। ফলে তীব্র জলাবদ্ধতায় তৈরি হয় ছোট কুমিরা বাজারের ব্যবসায়ী ও স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ যাওয়া কোমলমতি শিশু এবং পথচারীরা।

সরজমিনে দেখা যায়,স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজগ্রামী ছাত্র-ছাত্রীরা এই ময়লা,দুর্গন্ধ যুক্ত পানি দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করছে,গত কয়েকদিন আগে টানা ভারী বৃষ্টি হলে ওই পথ দিয়ে স্কুলে যাওয়া সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র মোঃ আল-আমীন ময়লা পানিতে পড়ে যায়। অপরদিকে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,সকালে সন্তানকে মাদ্রাসা নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়,ছোট বাচ্চাদের ময়লা পানি উপর দিয়ে যেতে হয় তাদের।

শুধু তাই নয়, ড্রেনেজ পানি প্রবহমান না থাকায় খরা মৌসুমে পানি নোংরা হয়ে একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অপরদিকে মশা-মাছির প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

অথচ জলাধার আইন ২০২০ এর ৫ ধারা অনুযায়ী, ‘প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা কিংবা হস্তান্তর বেআইনি।

এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ীও এটা বেআইনি।

তবে জানা যায়,৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে স্থানী বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস মিয়া মনির এই ড্রেন পরিষ্কার করেন।

এদিকে বাজার ব্যবসায়ী মীর হোসেন, মাহবুবুল আলমসহ একাধিক বাসিন্দা জানান,পূর্বে এখানে ড্রন বা পথচারী হাঁটার রাস্তা এটি। সেটাকে সংকুচিত করে সাতকানিয়া স্টোর ও কয়েকটি দোকানের বিভিন্ন মালামাল রেখে মানুষের হাঁটার অউপযোগী করে তুলে। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দোকানে পানি ওঠে। শুধু তাই নয়, শুকনো মৌসুমে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে অবিলম্বে ড্রেন উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরকারি ড্রেন বা রাস্তা উদ্ধারে কোন পরিকল্পনা আছে কীনা জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি তদন্ত করে দেখবো।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন