সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ কিশোর পর্যটক মেহেদীর লাশ উদ্ধার

সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ কিশোর পর্যটক মেহেদীর লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ কিশোর পর্যটক মেহেদীর লাশ উদ্ধার

বিশেষ প্রতিবেদক।।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে মেহেদী হাসান (১৬) নামে এক কিশোর পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৮ঘণ্টা পর তার লাশ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় বোটচালক ও জেলেরা সীবিচ সংলগ্ন খালের পশ্চিমে মাটির সাথে আটকাপড়া অবস্থায় দেখতে পায় নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ। সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।লাশটি উদ্ধার করে তারা খালের পাড়ে রাখে।

নিখোঁজ মেহেদী হাসান কুমিল্লার বরুরা থানার আগানগর গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার ১৪ জনের একটি দল গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসে। দুপুরে তারা সমুদ্রে গোসল করতে নামে সমুদ্রে। এ সময় সমুদ্রের ঢেউয়ে মেহেদী তলিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বাকি সদস্য এবং স্থানীয়রা মিলে তাকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। অন্যরা সাঁতার জানলেও মেহেদী সাঁতার জানতো না।

পরে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার কাজ শুরু করেছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সাগরে বৈরী আবহাওয়া ও ভরা জোয়ারের কারণে তখন উদ্ধার করা যায়নি। পাশাপাশি বিষয়টি আগ্রবাদ ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে একটি ডুবুরি দলও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছিল।

এদিকে ছেলের নিখোঁজের খবর শুনে কুমিল্লার বরুরা থেকে মা-বাবা ও নিকট আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন। তাদের কান্নায় তখন গুলিয়াখালী সীবিচ এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলের খোঁজ না পেয়ে তারা রাতে সীতাকুণ্ড একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;