মেয়েদের চোখের জল ফেলার একটি জায়গা লাগে - ড. উদিতি

মেয়েদের চোখের জল ফেলার একটি জায়গা লাগে -  ড. উদিতি
মেয়েদের চোখের জল ফেলার একটি জায়গা লাগে - ড. উদিতি

রুনা তাসমিনা ।।

চট্টগ্রাম একাডেমি। সাহিত্য চর্চার একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। যেখানে সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে আমাদের শেখার থাকে অনেক কিছু। গতকাল ছিলো খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ শ্রদ্ধেয় ড. বদরুল হুদা খান সম্পাদিত 'ঐতিহ্যের সিআরবি : চট্টগ্রামের ফুসফুস' সংকলন ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. আনোয়ারা আলম আপার বই 'শিশির থেকে শবনম' নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান।

ঘড়ির কাঁটার সাথে সময়কে মিলিয়ে প্রতিবারের মতো আজও অনুষ্ঠান শুরু করেন খ্যাতিমান কবি সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় রাশেদ রউফ ভাই।

খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান স্যার ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী- শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. সীমা খানকে চট্টগ্রাম একাডেমির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান একাডেমির পরিচালক প্রাবন্ধিক কাঞ্চনা চক্রবর্তী আর এস এম আবদুল আজিজ ভাই।

প্রাবন্ধিক নেছার আহমেদ ভাই, কবি আবু মুসা চৌধুরী ভাই, কবি জিন্নাহ চৌধুরী ভাই,কবি অরুণ শীল দাদা,সংগঠক জাহাঙ্গীর মিয়া ভাই, চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার সম্পাদক ওমর ফারুকের বক্তব্যের পর মূল আলোচনা।

'শিশির থেকে শবনম' গ্রন্থের আলোচনা করছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ সোমা দিদি। তিনি বলছিলেন আর আমরা সবাই গভীর মগ্নতায় শুনে যাচ্ছিলাম একজন ঐতিহাসিক নারীর ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা। 'মেয়েদের চোখের জল ফেলার একটি জায়গা লাগে'--দিদি কী সহজভাবে মেয়েদের জীবনের একটি গোপন সত্যি কথা বলে গেলেন! বিদ্রোহী শিশির, সংসারী শিশির, গায়ক শিশির, লেখক শিশির, মা শিশির কেমন করে নিরবে নিভৃতে সবার অগোচরে ভোরের শিশিরের মতো হারিয়ে গেলেন কেউ জানলোনা। মায়েদের মৃত্যু কখনো হয় না বলে হয়তো তাঁর সন্তান খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান স্যারের ডাকে আর বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. আনোয়ারা আলম আপার কলমে আবার তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন।

May be an image of 9 people, people standing and flower কিছু সময়, কিছু কথা, মনকে ভীষণ রকম ছুঁয়ে থাকে। সেই সময়গুলোয় মন ঠিক করতে পারেনা অতীতের জন্য বিষন্ন হবে নাকি আজকের সম্মানে পুলকিত হবে! আজ সন্ধ্যাটি ছিলো ঠিক তেমন। আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যেনো মা'কে আজ আরেকবার ছুঁয়ে গেলেন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান স্যার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী- শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. সীমা খান। সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন অসামান্য গুণী শিল্পী। যে কয়েক লাইন গান করলেন, মনে হলো তিনি সুরে সুরে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। 'শিশির থেকে শবনম' গ্রন্থের লেখক ড. আনোয়ারা আলম আপা তিনিও আমাদের মতোই আপ্লূত। তাই তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি কৃতজ্ঞতা জানালেন। অল্পকিছু তথ্যের ওপর নির্ভর করে তিনি যে একজন মহীয়সী নারীকে তাঁর লেখনিতে আবার এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছেন আপাকে অভিনন্দন জানাই। গতকালের এই সন্ধ্যাকে বলতে পারি, স্বর্ণালি স্মৃতির পাতা উল্টে দেখা এক স্মৃতিময় এলবাম।

ড. বদরুল হুদা খান স্যার তাঁর বক্তব্যে, সিআরবি নিয়ে বলতে গিয়ে স্মরণ করেন তাঁর মামাকে। বলেন, চট্টগ্রামের এই সবুজ বেষ্টিত এলাকা তিনি একটি বিদেশি চ্যানেলের সাহায্যে দেখিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। এদেশের মানুষ পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন, জন্মস্থানের মায়া তাঁদের প্রাণে ঠিকই রয়ে যায়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক যখন আয়েশা হক শিমু ভাবী, তখন অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হবেই। আন্তরিক ধন্যবাদ চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় রাশেদ রউফ ভাইকে। আজ আবারও বলছি--আমাদের সামনের পথ চলার জন্যে যাঁর উৎসাহ প্রেরণা হয়ে থাকে, তিনি রাশেদ রউফ ভাই। অনুষ্ঠান শেষ হয় চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, চা বিশেষজ্ঞ আমিনুর রশীদ কাদেরী ভাইয়ের বক্তৃতার মাধ্যমে।

খালেদ / পোস্টকার্ড;