Dhaka ০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে অবরোধ, মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধর

গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মহাসড়কে চালকদের সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের বিরোধের জেরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে চালকেরা। এতে অন্তত ১২ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদামতলা এলাকায় ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই সময় খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা ও বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়া একটি অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চম্পা রোলিং মিলের প্রবেশপথে একটি কাভার্ড ভ্যান পার্কিং নিয়ে চালক ও কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চালককে মারধর করা হয়েছে বলে ওই চালক অন্য চালকদের একত্র করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান আড়াআড়ি করে রেখে অবরোধ করেন। সাড়ে আটটার দিকে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে এগিয়ে আসে। এর আগে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ চলাকালে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়েন। চালকদের কাছে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকদের ধাওয়া দেন। পরে চালকেরা কনটেইনার ডিপোর ভেতরে আশ্রয় নেন এবং তাঁদের মধ্যে একজনকে ধরে আনা হলে তিনি মহাসড়কে দাঁড় করানো কাভার্ড ভ্যানগুলো সরিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান , মহাসড়কে ডাবল লাইনে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি হচ্ছিল। আজকের ঘটনা শুরু হয় বিকেলে রোলিং মিলের সামনে পার্কিং নিয়ে বিরোধের জেরে। পরে তা বড় আকার নেয়।

ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ বলেন, চালকদের অভিযোগ শুনে আমরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাৎক্ষণিক সমাধান না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এর মধ্যে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযোগ আসে। পরে স্থানীয় লোকজন চালকদের ধাওয়া দিলে তাঁরা সরে যান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ; 

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন
ট্যাগ:
লেখক তথ্য সম্পর্কে

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সীতাকুণ্ডে মারা গেলেন শিক্ষক

মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে অবরোধ, মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধর

আপডেটের সময় : ১২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মহাসড়কে চালকদের সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের বিরোধের জেরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে চালকেরা। এতে অন্তত ১২ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাদামতলা এলাকায় ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই সময় খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা ও বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়া একটি অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চম্পা রোলিং মিলের প্রবেশপথে একটি কাভার্ড ভ্যান পার্কিং নিয়ে চালক ও কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চালককে মারধর করা হয়েছে বলে ওই চালক অন্য চালকদের একত্র করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান আড়াআড়ি করে রেখে অবরোধ করেন। সাড়ে আটটার দিকে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে এগিয়ে আসে। এর আগে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ চলাকালে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে পড়েন। চালকদের কাছে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকদের ধাওয়া দেন। পরে চালকেরা কনটেইনার ডিপোর ভেতরে আশ্রয় নেন এবং তাঁদের মধ্যে একজনকে ধরে আনা হলে তিনি মহাসড়কে দাঁড় করানো কাভার্ড ভ্যানগুলো সরিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান , মহাসড়কে ডাবল লাইনে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি হচ্ছিল। আজকের ঘটনা শুরু হয় বিকেলে রোলিং মিলের সামনে পার্কিং নিয়ে বিরোধের জেরে। পরে তা বড় আকার নেয়।

ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ বলেন, চালকদের অভিযোগ শুনে আমরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাৎক্ষণিক সমাধান না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এর মধ্যে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযোগ আসে। পরে স্থানীয় লোকজন চালকদের ধাওয়া দিলে তাঁরা সরে যান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ; 

আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন