বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) স্বীকৃতি পেয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাক্কা মসজিদ এলাকার প্রভাতী ফুটবল একাডেমি।

বাফুফু’র একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিমের অংশ হিসেবে একাডেমিকে “ওয়ান স্টার” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফুটবল একাডেমিগুলো থেকে বাছাই করে ১২৬টি একাডেমিকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে বাফুফে। তারমধ্যে প্রভাতী ফুটবল একাডেমি সীতাকুণ্ডে প্রথম কোন ফুটবল একাডেমি হিসেবে বাফুফে কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে।

সাম্প্রতিক বাফুফে ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রভাতী ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান এম মনোয়ারুল হক এফসিএমএ, ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহ আকবর, হেড কোচ ফজলুল করিম আরমানের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন ।

এ সময় বাফুফে কর্তৃপক্ষ জানায়, ফুটবল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে যারা বাফুফে, এএফসি এবং ফিফা স্বীকৃত মানদন্ড অনুসরণ করে একাডেমি চালায় তাদেরকেই এই রেটিং প্রদান করা হয়। ২০২০ সালে স্থানীয় চক্রবাক ক্লাবের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে প্রভাতী ফুটবল একাডেমির। ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন, অংশগ্রহণ ছাড়াও বয়সভিত্তিক নিয়মিত অনুশীলন কার্যক্রম চালু রেখেছে একাডেমিটি।

একাডেমির চেয়ারম্যান এম মনোয়ারুল হক এফসিএমএ বলেন, ২০২০ সালে যখন দেশে করোনা আক্রান্ত কারণে সবাই ঘরবন্দী হয়ে যাচ্ছে, তখন গ্রামের তরুণ, যুবকদের নিয়ে ফুটবল টিম ঘটন করি। উঠতি বয়সের তরুণ-যুবকরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকে মূলত এ উদ্দেশ্যেই খেলার প্রতি তাদের টেনে আনা।

তিনি জানান, বাফুফের একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিমের অংশ “ওয়ান স্টার” হিসেবে স্বীকৃতি এই অর্জন সীতাকুণ্ডের জন্য গর্বের এবং প্রভাতী ফুটবল একাডেমির জন্য বিশাল একটি পাওয়া। সীতাকুণ্ডের ফুটবলের উন্নয়ন ও বিকাশ, নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি ও মান বৃদ্ধির লক্ষে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;