চন্দ্রনাথ মহাতীর্থে র‌্যাপেলিং করা যাবে না : প্রশাসন

চন্দ্রনাথ মহাতীর্থে র‌্যাপেলিং করা যাবে না : প্রশাসন
চন্দ্রনাথ মহাতীর্থে র‌্যাপেলিং করা যাবে না : প্রশাসন

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথধাম মহাতীর্থের পাহাড়ে র‌্যাপেলিংয়ের (রশি বেয়ে পাহাড়ে ওঠা) অনুমতি দেবে না প্রশাসন। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হওয়ায় পর্যটনস্পটের মতো কোনো কর্মকাণ্ডই চলবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রশাসন বলছে, চন্দ্রনাথে কোনোরকম র‌্যাপেলিং করতে দেয়া হবে না। তীর্থভূমিতে এ ধরনের চেষ্টাও যদি কেউ করেন সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই সেখানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান তীর্থভূমি সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথধাম। এখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটে। অন্যদিকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যেও অপরুপ। পাহাড় চূড়া থেকে পূর্বে ফটিকছড়ির চা বাগানের মনোরম দৃশ্য আর পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের নীল জলরাশি ভ্রমণ পিপাসুদের প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। এ কারণে তীর্থ যাত্রীদের পাশাপাশি এখানে সমানভাবে আগমন হয় পর্যটকদেরও। কিন্তু বিভিন্ন সময় এখানে আসা পর্যটকরা এ তীর্থের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। গতবছরও এখানে এক পর্যটক একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটালে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারও করতে হয়।

এদিকে এবার সেই একই পাহাড়ে র‌্যাপেলিং করে যায় কিছু তরুণ। শুধু তাই নয়, একটি ট্যুর গ্রুপের পক্ষ থেকে এখানে আরো বড় ধরনের একটি র‌্যাপেলিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যা বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো। এ নিয়ে আয়োজকরা নানা প্রচারণা শুরু করেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদনও করে গ্রুপটি। এ নিয়ে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসন তাদের আর অনুমতি দেয়নি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্রনাথধাম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রধান তীর্থ স্থান। এখানে কোনো আয়োজনের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসুক আমরা চাই না। তাই এখানে র‌্যাপেলিং করতে অনুমতি দিইনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;