সুপারশপ ‘দ্য বাস্কেট’ লকডাউন শেষে সচল হলো

সুপারশপ ‘দ্য বাস্কেট’ লকডাউন শেষে সচল হলো
সুপারশপ ‘দ্য বাস্কেট’ সচল হলো লকডাউন শেষে

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সচল হলো সুপারশপ ‘দ্য বাস্কেট’। ৭৪ কর্মীর কোয়ারেন্টিন শেষে তিন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চালু হয়েছে বাস্কেট। গত ৩ এপ্রিল দামপাড়ায় করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের ছেলের শরীরে ৫ এপ্রিল পাওয়া যায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। সেই বৃদ্ধের ছেলে ছিল বাস্কেটের টয়লেট্রিজ বিভাগের কর্মী। এখন সেই যুবক প্রায় সুস্থ। তবে বাস্কেটের কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ এবং একইসাথে বাস্কেটের লকডাউন পিরিয়ড শেষ হলে গত রোববার থেকে তা সচল হয়।

কিন্তু শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতা সুরক্ষা কীভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রত্যেকের জন্য পিপিই ছাড়া গ্লাভস, ক্যাপ সরবরাহ করা হয়েছে। একইসাথে ক্রেতাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে চালু করা হয়েছে তিন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের আলাদা আলাদা স্যানিটাইজের পাশাপাশি বিপণীকেন্দ্রের প্রায় ১০ হাজার ফুট মেঝে চলছে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক‘ জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্নতার কাজ।

লকডাউন ও ৭৪ কর্মীর কোয়ারেন্টাইন শেষে চালু প্রসঙ্গে নাজমুল হোসেন বলেন, প্রথমদিন থেকে জীবাণুমুক্ত করতে গ্রহণ করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। তিনস্তরের জীবাণুমুক্ত কার্যক্রমে প্রথমে পার্কিং জোনে ছিটানো হয় জীবাণুনাশক মিশ্রণ। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান ফটকে থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, প্রত্যেককে আলাদাভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে ক্রেতারা ভেতরে ঢুকে পাবেন জীবাণুমুক্ত আলাদা ট্রলি। প্রয়োজনমত গ্লাভসও সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্রেতাদের বিদায়ের পর প্রতিটি ট্রলিই জীবাণুমুক্ত করে নির্দিষ্ট বিরতির পর আবার নতুন ক্রেতার কাছে দেওয়া হয়।

এদিকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা স্বীকার করে বাস্কেটের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ১০ হাজার বর্গফুটের ফ্লোরে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার কাজে কর্মীর সংখ্যা ৪০ % বাড়ানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর মার্চের শুরু থেকে আামরা হ্যান্ড সেনিটাইজারের মাধ্যমে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছিলাম। বর্তমান পরিস্থিেিত সতর্কতা আরো বাড়ানো হয়েছে। ভেতরে শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।