সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই - বিভাগীয় কমিশনার

সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই - বিভাগীয় কমিশনার
সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই - বিভাগীয় কমিশনার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২২ এবং মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচানা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জাতির পিতার দুরদর্শিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাতির পিতার বক্তব্যের কয়েকটি লাইন তুলেধরে বলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আর শিক্ষকরা হলেন সোনার মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের পেটে ক্ষুধা রেখে সোনার মানুষ তৈরী করা সম্ভব নয়।”

বঙ্গবন্ধু দেশপ্রেমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তব্যের কয়েকটি লাইন তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “শিক্ষায় সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে” শিশুদের সমান অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বছরের প্রথম দিনে শিশুদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়ে শিক্ষার ব্যয়ভার বহনের নীতি বাস্তবায়ন করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠন, দেশপ্রেম সৃষ্টি এবং মানবতাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাষা হবে মাতৃভাষা (বাংলা ভাষা), প্রাথমিক পর্যায়ে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে, বিজ্ঞান, কৃষি এবং প্রকৌশল শিক্ষার উপর জোড় দিতে হবে, শিক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তিনি ৩৮ হাজার প্রাইমারী স্কুলে প্রায় একলাখ পঁয়ষট্টি হাজার শিক্ষককে জাতীয়করণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ ও জাতি পেয়েছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তৎকালীন নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের হাত ধরে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগদান করেছেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নিবার্চন ১৯৭১ এর নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তির সংগ্রাম, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আজকের এই লাল সবুজ পতাকা, স্বাধীন ও সম্বৃদ্ধের স্বপ্নে বিভোর আজকের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্রমুক্ত দেশ বিনির্মাণে অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একাত্তরের আগে সাড়ে সাত কোটি লোক হওয়া সত্তে¡ও দেশের লোক তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারেনি, এটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু আজ ষোল কোটি বা সতেরো কোটি যা বলিনা কেন দেশের জনগণ খেয়ে পড়ে ভাল আছেন। দ্রব্যমূল্য কিছুটা বেড়েছে এটাও সত্য। দেশের সরকার এ বিষয় বিবেচনা করে এক কোটি টিসিবি কার্ড বিতরণ করার উদ্যোগ হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বিশ তারিখ সকাল দশটায় সাড়া দেশে এক যোগে এই কার্যক্রম চালু হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস- ২০২২ এবং মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ হতে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠ পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন এ র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। পরে তিনি জিমনেশিয়াম মাঠে বেলুন উড়িয়ে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), ডিআইজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, এস এম রশিদুল হক, পিপিএম (সেবা) পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;