সীতাকুন্ড ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা বাড়ছে আদালতের, প্রতিবেদন প্রকাশে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ

সীতাকুন্ড ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা বাড়ছে আদালতের, প্রতিবেদন প্রকাশে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি।।

সীতাকুন্ড ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা বেড়ে চলেছে আদালতে। প্রতিবেদন প্রদানের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরনের ফলে ভূমি অনাস্থা দেখা দিয়েছে সর্বসাধারনের মাঝে। ফলে ভূমি অফিসে পক্ষপাত মূলক বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়রানির পাশাপাশি সঠিক বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জায়গা- জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের ভূমি অফিসকে নির্দেশ দিয়ে থাকে আদালত। আর আদালতের নির্দেশানার সুযোগে তদ্বন্তে যাওয়ার পূর্বে বাদি-বিবাদীর সাথে দেন-দরবার শুরু করেন ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার। সরেজমিনে যাই থাকুক না কেন সার্ভেয়ারকে সন্তুষ্ট করতে হবে পারলে সহজে জায়গা পাওয়া যাই দখল মালিকানা। এ পরিস্থিতির শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত সত্যকে মিথ্যা উপস্থান করে জায়গার প্রকৃত মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ ভোক্তভোগীদের।
বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের ভোক্তভোগী এক পরিবার বলেন,‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকা সত্ত্বে দলিলপত্র না দেখে আদালতে তদ্বন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেছে ভূমি অফিস। ভোগ দখলের পাশাপাশী ইতিমধ্যে উক্ত জায়গার উপর দিয়ে সর্বসাধারনের চলাচলে একটি রাস্তা করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। অথচ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে রাস্তাসহ ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলে উঠে-পড়ে লেগেছে কতিপয় ব্যাক্তি। এ অবস্থায় জায়গা রক্ষায় আদালতের স্বরনাপন্ন হলে তদ্বন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশে দ্বায়ীত্ব দেয়া হয়েছে ভূমি অফিসকে। কিন্তু ভূমি অফিস দলিল, দখল ও খতিয়ানের সত্যতাকে গোপন করে শুধুমাত্র ধর্মের দোহায় দিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রদান করা হয়েছে আদালতে।’ একইভাবে ভূমি অফিসের মিথ্যা প্রতিবেদনর কারনে দখলদাররা জোরপূর্বক জায়গা দখল করে নেয় বলে জানান অপর এক ভোক্তভোগী।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন,‘ সরেজমিনে তদ্বন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। এরপরও কারো কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে পূনঃ তদ্বন্ত হবে বলে জানান তিনি।