সীতাকুন্ডে অবৈধ দখলে বিদ্যুৎ বিভাগের স্টাফ কোয়াটার, ভাড়া ছাড়া চলছে যুগের পর যুগ

সীতাকুন্ডে অবৈধ দখলে বিদ্যুৎ বিভাগের স্টাফ কোয়াটার, ভাড়া ছাড়া চলছে যুগের পর যুগ
প্রতিকী ছবি ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

যুগ যুগ ধরে অবৈধভাবে বেদখল হয়ে আছে বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের স্টাফ কোয়াটার। রুল মোতাবেক স্টাফ কোয়াটার ভাড়া প্রদানে নিয়ম থাকলেও মানা হইনি কখনও। ফলে স্টাফদের অবৈধভাবে বসবাসে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অথচ যুগ যুগ ধরে স্টাফ কোয়াটারগুলো অবৈধ দখলের কবলে পড়লেও ব্যবস্থা গ্রহনে উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের অফিসটি মান্দারীটোলা গ্রাম হতে স্থানান্তর করা হয় আনোয়ারা গেইট এলাকায়। পুরাতন অফিসটি নতুন স্থানে স্থানান্তরীত হওয়ার পর থেকে অবৈধ দখলের কবলে পড়ে পুরাতন অফিসের স্টাফ কোয়াটার। কোন প্রকার ভাড়া প্রদান না করে বসবাস শুরু করে কতিপয় স্টাফ। সরকারী বিধি মোতাবেক স্টাফ কোয়াটার ব্যবহারে ভাড়া বাবদ বেতনের ৪০- ৫০% ভাড়া কর্তনের বিধান থাকলেও যুগ যুগ ধরে অকার্যকর। আর এ সুযোগে সরকারী সম্পত্তিকে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে পুরাতন অফিসের কক্ষকে ব্যবহার ও গাছ কেটে আসবাবপত্র তৈরীতে করতে দ্বীধা করেনি অবৈধ দখলদাররা। এ পরিস্থিতিতে স্টাপ কোয়াটারগুলো সংস্কার করা হলেও ভাড়া বাবদ আয় হতে বঞ্চিত হয়ে প্রতি বছর লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাতে বসেছে সরকার। তবে অফিস কর্তাদের যোগসাজশে স্থানী স্টাফসহ কয়েকজন স্টাফ সরকারী সম্পত্তিকে অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ইচ্ছে মাফিক ব্যবহার করছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তারা বলেন,‘ দুর-দুরান্তের স্টাফদের জন্য কোয়াটারগুলো বরাদ্ধের নিয়ম থাকলেও দখলে নিয়েছে স্থানীয়রা। ভাড়া না দিয়ে যুগ যুগ ধরে দখলে রেখেছে কোয়াটার। পুরাতন অফিসের সম্পত্তি নিজেদের ব্যাক্তিগত কাজে মত ব্যবহার করে ভোগ-দখল করছে। অথচ সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধ দখলে চলে গেলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন,‘ এ বিষয়ে অবগত নয়, তবে সত্যতা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।