সীতাকুণ্ডে চলাচলের রাস্তা কেটে গ্যাসলাইন নিতে দুর্ভোগ, কেএসআরএমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

সীতাকুণ্ডে চলাচলের রাস্তা কেটে গ্যাসলাইন নিতে দুর্ভোগ,  কেএসআরএমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সীতাকুণ্ডে চলাচলের রাস্তা কেটে গ্যাসলাইন, কেএসআরএমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

চলাচলের রাস্তা কেটে কারখানায় পাইপলাইন নিতে দুর্ভোগ তৈরি করায় অতিষ্ঠ জনগণ চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (কেএসআরএম) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার সকালে ওই প্রুপের একটি গাড়ি সড়কে আটক করে কুমিরা রয়েল সিমেন্ট গেট এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও মেরামত করেনি। বর্ষায় বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে দুর্ভোগে পোহাতে হয়। গতকাল বিক্ষুব্ধ জনতা আন্দোলনে নামে। শিগগিরই সড়ক মেরামতের আশ্বাস দিলেও কবে কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিরায় চলাচলের রাস্তার মাঝখানে খুঁড়ে গ্যাসের পাইপলাইন নিয়ে যায় কেএসআরএম। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে এলাকার লোকজন। প্রতিবাদ জানালে ট্রাকে করে কেএসআরএম স্টিল মিলের স্টিল বর্জ্য (রাবিশ) ছিটিয়ে দেয়। এতে জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়, ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ। কারণ লোহার এসব বর্জ্যে পা কেটে যায়। জুতা পায়ে হাঁটতেও সমস্যা হয়।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, কুমিরা রয়েল গেটের সামনের রাস্তা দিয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের লাইন থেকে একটি লাইন পরী রাস্তার মাঝখানে খুঁড়ে কেএসআরএমের একাধিক কারখানায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে । এতে চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি কাটার সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কাজ শেষে মেরামত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজ হচ্ছে না। সমস্যার কোনো সুরাহা না হওয়ায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছে। কেএসআরএম কারখানার একটি ট্রাক আটকানো হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের আশ্বাসে সড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নেয়।

সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, রাস্তা খুঁড়ে কেএসআরএম গ্যাসের লাইন নেওয়ায় চলাচলে এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছিল। গতকাল তারা বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তারাই কাজ করবেন। তিনি বলেন, কাজ যেহেতু কেএসআরএমের জন্য করা হয়েছে ; তাই তাদের এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি করিয়ে নিতে তাগাদা দিতে বলেছি।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের। ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে কেএসআরএম পাইপলাইন নেওয়ার অনুমতি নিয়েছে। এ জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছে।