সীতাকুণ্ড আওমীলীগের সম্মেলন আবারো পেছাল

সীতাকুণ্ড আওমীলীগের সম্মেলন আবারো পেছাল

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

আবারো পিছিয়ে ২৯ নভেম্বর নির্ধারণ করা হলো সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন । এর আগে ১৬ ও ২৩ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ থাকলেও তা পেছানো হয়েছিল।

সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে উপজেলার ৯০টি ওয়ার্ড, ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কাউন্সিল শেষ হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

সভাপতি-সম্পাদক কারা হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই দুই পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। প্রার্থিতা ঘোষণা নিয়ে সরগরম প্রার্থী ও সমর্থকদের ফেসবুক। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ফেসবুকে নানামুখী প্রচার চালাচ্ছেন। এর আগে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর।

তিন বছরের মেয়াদের কমিটি মেয়াদ সাত বছর পার হলেও দলীয় গ্রুপিংসহ নানা সমস্যায় যথাসময়ে হয়নি সম্মেলনও। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তৎকালীন এমপি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মরহুম এবিএম আবুল কাসেম ও সাধারণ সম্পাদক হন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর এবিএম আবুল কাশেম ওই বছরের ২৪ নভেম্বর মারা যান। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ ইসহাক।

উপজেলা আ. লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া এবং সাবেক এমপি মরহুম এবিএম আবুল কাসেম মাস্টারের জ্যেষ্ঠপুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম নিজে প্রার্থিতা ঘোষণা না দিলেও দলীয় নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সম্প্রতি সময়ে উপজেলা পর্যায়ে এমপিরা দলীয় সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী না হওয়ার অনুরোধ করা নেতাকর্মীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে উপজেলা আ. লীগের সম্মেলন সমন্বয়ক এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি/সম্পাদক পদে এমপিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য কথাটা বলেছেন। কারণ নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা এবং একই ব্যক্তি উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ যেন ধরে না রাখে। তবে এমপিদের উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি হতে কোনো বাধা নেই।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীর মধ্যে আছেন উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ.ম.ম দিলসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বারৈয়ারঢালা ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর।

নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা রাজনীতি বর্তমান এমপি দিদারুল আলম, উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন গ্রুপে বিভক্ত।

তবে তারা দাবি করেন, যারা জামায়াত-বিএনপি থেকে দলে ভিড়ে পদ-পদবি নেয়ার চেষ্টা করছেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। যে সকল নেতা জামায়াত-বিএনপি ও নাশকতাকারীদের দলে ভেড়াতে চাই তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।