লাখো মুসল্লির ঢল আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে

লাখো মুসল্লির ঢল আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে
লাখো মুসল্লির ঢল আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে, ছবিঃ সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক ।।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীর তুরাগতীরে ধর্মপ্রাণ লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নেমেছে। রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে হবে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা জামশেদ।

শনিবার ইজতেমা ময়দানে ১০ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ানো হয়েছে। বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা শামীম আজমী। তবে এবার বয়ানের মঞ্চের পরিবর্তে বিদেশি মুসল্লিদের তাঁবুতে এসব বিয়ে পড়ানো হয়।

পরে মুসল্লিদের মধ্যে খোরমা-খেজুর ছিটিয়ে দেয়া হয়। প্রথম পর্বে ৯৬ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে হয়।

অন্যতম মুরব্বি প্রকৌশলী শাহ মো. মুহিবুল্লাহ জানান, বাদ ফজর ভারতের মাওলানা মুরসালিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এ বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন। বাদ জোহর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুফতি রিয়াসত, তা বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর। বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ হোসেন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা জামশেদ, তা বাংলায় ভাষান্তর করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

মাওলানা মুরসালিন ইমান-আমল, তাবলিগের ৬ উসুল ও দাওয়াতের মেহনতের ওপর বয়ান করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সমাজে অনেক কিতাব আছে, বড় বড় লাইব্রেরি আছে। তবে আমাদের মধ্যে দ্বীনের মেহনত নেই। সাহাবায়ে কেরাম আজমাইনদের সময় কিতাব ছিল না, তারা লেখাপড়া জানতেন না, কিন্তু তাদের মধ্যে দ্বীনের মেহনত ছিল। তারা দাওয়াতের মেহনতের মাধ্যমে দ্বীন জিন্দা করেছেন। দাওয়াতের মাধ্যমেই সারা দুনিয়ায় দ্বীন বাস্তবায়ন হয়েছে।

মাওলানা মুরসালিন বলেন, নবী করিম (সা.)-এর দেখানো পথে আমল করতে পারলে তবেই কামিয়াবি পাওয়া যাবে। যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলে খানা খান, বিছানায় ঘুমাতে যান, ঘর থেকে বের হন- যে কাজই করুন শয়তান তার সঙ্গে শরিক হতে পারে না। নবীর তরিকার ওপর শয়তান কোনো দখল নিতে পারে না।

এজন্য নবীর তরিকা ছাড়া রক্ষার কোনো রাস্তা নেই, নাজাতের কোনো পথ নেই। এর বিপরীতে যে চলবে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য বরবাদি।

এছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।

এদিকে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা, আখাউড়া ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুট থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৫ মিনিট যাত্রাবিরতি করবে।

ইজতেমায় আগত যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে অতিরিক্ত টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।