রবি - গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

রবি - গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ
রবি - গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬ (২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ২জি ও ৩জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছে বিটিআরসি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই অপারেটর বরাবর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. জাকির হোসেন খান।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির টুজি ও থ্রিজির লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবেনা, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ উল্লেখিত দুই অপারেটরকে দেয়া হয়েছে।

পুনঃনিরীক্ষার পর বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে। একই সঙ্গে রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা দাবি তাদের।

এর আগে ৪ জুলাই পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোনের মোট ব্যবহার করা ব্যান্ডউইথের ৩০ শতাংশ এবং রবির ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের ১৫ শতাংশের ওপর ক্যাপিং আরোপ করে কমিশন।

তবে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার সীমিত করায় সেটি গ্রাহকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে – বিবেচনায় আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এনওসি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিটিআরসির নোটিশটি অযৌক্তিক এবং একই সঙ্গে একটি বিতর্কিত অডিট দাবির বিষয়ে গ্রামীণফোনের গঠনমূলক সমাধান প্রস্তাবের বিপরীতে তাদের অনীহার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। নোটিশটি পর্যালোচনা করার পরেই গ্রামীণফোন উত্তর দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের প্রতিষ্ঠান, শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্যায্য যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায়।

উল্লেখিত পাওনা নিয়ে এর আগে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং গ্রামীণফোনের ডাইরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত জানিয়েছিলেন , ‘বিতর্কিত নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাওনা  দাবি করা হচ্ছে।

এ সমস্যার প্রকৃত সমাধান বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি অথবা  আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব বলে তারা মনে করেন ।