মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে দুই মাসে ৩৪ কোটি টাকার

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে দুই মাসে ৩৪ কোটি টাকার

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

গত দুই মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৪৩ টাকার । এ সময়ে ১৩ হাজার ৫৯৩টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে মোবাইল কোর্টে ৫৭২টি মামলা করা হয়েছে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, একই সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল বা ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ সময় ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, বাজারজাত ও বিক্রির কারণে যাদের জেল-জরিমানা হয়েছে, তারা যদি আবার একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভেজাল বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের জন্য ইতোমধ্যে যাদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে, তারা যদি আবার একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত হন, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।’ তিনি বলেন, ‘ভেজাল বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের জন্য এখন সাত দিন বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হলে যাবজ্জীবন এমনকি মৃত্যুদন্ডও হতে পারে।’
এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট এক আদেশে সারা দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আদালতে প্রতিবেদন দেয়।