মোহনীয় রূপে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি ঝর্ণা

মোহনীয় রূপে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি ঝর্ণা
মোহনীয় রূপে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি ঝর্ণা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।। 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে দুটি ঝর্ণা বর্ষাকালে তার রূপের পেখমমেলে ডাক দিয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমীদের। বর্ষা মৌসুমে মোহনীয় রূপ নেয় সীতকুণ্ডের সহস্র ধারা ও সুপ্ত ধারা নামের দুটি পাহাড়ি ঝর্ণা। বর্ষা মৌসুমে অবিরত ধারায় পানি গড়িয়ে পড়ছে। দুর্গম পথের কারণে সাধারণ দর্শনার্থীরা তেমন আগ্রহ না দেখালেও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তরুণ-তরুণিদের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় ঝর্ণায় পানি থাকে না।

দর্শনার্থীদের কাছে সীতাকুণ্ডের সহস্র ধারা কিংবা সুপ্ত ধারা তেমন পরিচিত নয়। সীতাকুণ্ডে এ ধরণের দুটি ঝর্ণা রয়েছে, তা হয়তো অনেকেই জানে। কিন্তু দুর্গমতার কারণে সাধারণ দর্শনার্থীদের ঝর্ণা দুটি টানেনা। আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে উপরে ওঠা।

আবার জঙ্গলাকীর্ণ লম্বা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামা। কোথাও কোথাও আবার সিঁড়ি না থাকায় পাহাড়ি ঝর্ণা ধরে হেঁটে যাওয়া। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের কাছে ঝর্ণা দুটি অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ঝর্ণা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন স্থানীয় ইজারাদার মো. সাহাবউদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা দর্শনার্থীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। তাদের সব ধরণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন ৮শ থেকে ১ হাজার দর্শনার্থী সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে বেড়াতে আসলেও তার মধ্যে অর্ধেকেরও কম সহস্র ধারা কিংবা সুপ্ত ধারা দেখতে পাহাড়ের নিচে নামে।