মার্কিন বিজ্ঞানীরা ছবি প্রকাশ করলেন করোনাভাইরাসের
পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।
দেখতে কেমন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ? জানার আগ্রহ সবার। এবার সেই আগ্রহেরই অবসান ঘটালেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছবি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি)। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একটি অংশ। হ্যামিল্টনের রকি পর্বতমালার ল্যাবে তারা করোনাভাইরাসের ছবি ধারণ করেছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্ক্যানিং অ্যান্ড ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে। এরপরই যে ছবিটি চোখের সামনে আসে তা দেখে আশ্চর্য হন ল্যাবের বিজ্ঞানীরা। বিবিসি, আল-জাজিরা।
কারণ করোনাভাইরাসের আণবিক চিত্রটি ২০০২ সালের আতঙ্ক সার্স ও ২০১২ সালের মার্স ভাইরাসের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়।
এনআইএআইডির মলিকিউলার প্যাথোজেনেসিস ইউনিটের প্রধান এমি ডি উইট এই ভাইরাসের নমুনা সরবরাহ করেন। মাইক্রোস্কোপিস্ট এলিজাবেথ ফিশার এর ছবি ধারণ করেন এবং ল্যাবের ভিজ্যুয়াল মেডিকেল আর্ট বিভাগ ওই ছবি রঙিন করে তোলে।
এনআইএআইডি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের আণবিক চিত্র সার্স ও মার্স ভাইরাসের মতোই।
মিল থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনআইএআইডি এক ব্লগ পোস্টে জানায়, কাঁটাযুক্ত উপরিভাগের জন্যই করোনাভাইরাস পরিবারের নামে ‘করোনা’ যুক্ত হয়েছে। ল্যাটিন এই শব্দটির অর্থ ‘মুকুট’। বেশিরভাগ করোনাভাইরাসই এ ধরনের কাঁটা/মুকুটযুক্ত।
মঙ্গলবার নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন থেকে একে সিওভিআইডি-১৯ নামে ডাকা হবে।
করোনাভাইরাস পরিবারের সর্বশেষ সদস্য হওয়ায় ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনাভাইরাস’ বলা হচ্ছে। এর নাম এনসিওভি-১৯ অর্থ হচ্ছে ‘২০১৯ সালের নতুন করোনাভাইরাস’। এনসিওভি-১৯ থেকে সৃষ্ট রোগ সিওভিআইডি-১৯, এর অর্থও একই ধরনের ‘২০১৯ সালের করোনাভাইরাস রোগ’।
আগে ভাইরাসের নামকরণের ক্ষেত্রে উৎপত্তিস্থল, পোষক প্রাণী বা জড়িত অন্যান্য বিষয়ের নাম যুক্ত হতো। কিন্তু এর কারণে ওই নামগুলো ‘কলঙ্কিত’ হতো জানিয়ে নতুন ভাইরাসের ক্ষেত্রে সে পদ্ধতি বাদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন থেকে ভাইরাসের নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে শুধু গোত্র ও সাল উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।